Date : 2024-04-26

মোবাইলই হলো জরুরি পরিষেবা।তবে মোবাইলের কল ড্রপ বর্তমানে অন্যতম সমস্যা।এই কল ড্রপের সমস্যার সমাধানের জন্য মোবাইল টাওয়ারের প্রয়োজন।কিন্তু মোবাইল টাওয়ারই যে মানুষের স্বাস্থ্যের ক্ষতিকারক তা অস্বীকার করার জায়গা নেই : হাইকোর্ট

ষষ্ঠী চট্টোপাধ্যায়, রিপোর্টার: আট থেকে আশি সকলের হাতেই মোবাইল।কারন মোবাইলই হলো জরুরি পরিষেবা।তবে মোবাইলের কল ড্রপ বর্তমানে অন্যতম সমস্যা।এই কল ড্রপের সমস্যার সমাধানের জন্য মোবাইল টাওয়ারের প্রয়োজন।কিন্তু মোবাইল টাওয়ার ই যে মানুষের স্বাস্থ্যের
ক্ষতিকারক তা অস্বীকার করার জায়গা নেই।এই সমস্যার সমাধানের পথ কি?মন্তব্য বিচারপতি রাজা শেখর মান্থার।মোবাইল টাওয়ার বসানো সংক্রান্ত মামলার শুনানি চলাকালীন মন্তব্য বিচারপতি র।
বরাহ নগর পৌরসভার বাসিন্দা গোপা বিশ্বাস।
এলাকায় মোবাইল টাওয়ার বসানো রুখতে পুলিশ ও পুরসভার দ্বারস্থ হন। এবিষয় লিখিত অভিযোগ করেন তিনি।তাঁর অভিযোগ এক মোবাইল সংস্থা বরাহ নগর জনবহুল এলাকায় মোবাইল টাওয়ার স্থাপন করেছেন।ফলে ওই এলাকায় মানুষের ক্যান্সারে র মত দুরারোগ্য ব্যাধি তে আক্রান্ত হতে পারেন বলে আশঙ্কা করছেন।পাশাপাশি এলাকার বেশ কিছু ক্যান্সারে আক্রান্ত রোগীর তথ্য তুলে ধরে তিনি দাবি করেন এই মোবাইল টাওয়ার চালু হলে এই সমস্ত রোগীর শারীরিক অবস্থার অবনতি ঘটবে।
স্থানীয় বরাহনগর থানা এবং পুরসভায় অভিযোগ জানিয়ে কোন কাজ না হওয়ায় কলকাতা হাই কোর্টের দ্বারস্থ হন গোপাদেবী।বৃহস্পতিবার মামলা শুনানি চলাকালিন মোবাইল টাওয়ার ওই সংস্থার পক্ষ থেকে আদালতে দাবি করা হয় কেন্দ্রীয় টেলিকম মন্ত্রলায়ের নির্দেশ মেনেই এই মোবাইল টাওয়ার স্থাপন করা হচ্ছে।
রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে আইনজীবী জানান ইতি মধ্যে মোবাইল টাওয়ার বসানো নিয়ে একাধিক মামলা প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চে বিচারাধীন অবস্থায় রয়েছে।
এছাড়াও হাই কোর্টের নির্দেশে একটি কমিটিও গঠন করা হয়েছে।ওই কমিটির কাছে রিপোর্ট তলব করেছেন প্রধান বিচারপতি র ডিভিশন বেঞ্চ।
মামলা চলাকালীন বিচারপতি রাজা শেখর মান্থার।মন্তব্য তাহলে এই মামলার বিষয়বস্তুটি কমিটির কাছে পাঠানো হোক।কিন্তু আবেদন কারীর পক্ষ থেকে বারংবার আদালতের কাছে আবেদন জানানো হয় টাওয়ারটি অন্যত্র সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হোক।
বিচারপতি মান্থা বলেন মোবাইলই হলো জরুরি পরিষেবা।তবে মোবাইলের কল ড্রপ বর্তমানে অন্যতম সমস্যা।এই কল ড্রপের সমস্যার সমাধানের জন্য মোবাইল টাওয়ারের প্রয়োজন।কিন্তু মোবাইল টাওয়ার ই যে মানুষের স্বাস্থ্যের ক্ষতিকারক তা অস্বীকার করার জায়গা নেই।এই সমস্যার সমাধানের পথ কি?বিচারপতি র আর প্রশ্ন মোবাইল টাওয়ার থেকেই যে দূরারোগ্য ব্যাধি র সংক্রমণ হয় এই বিষয়টি পরীক্ষা করে জানাবেন কে?কারণ পুরসভা তো টাওয়ার স্থাপনের অনুমোদন দিয়েছেন বিষয়টিতে বরাহনগর পুরসভারই বিশেষজ্ঞ দিয়ে পরীক্ষা করে অনুমোদন দেওয়ার কথা।আবেদনকারীর পক্ষ থেকে আর দাবি বরাহ নগর পুরসভা যে অনুমোদন দিয়েছে তা স্থায়ী নয় সাময়িক অনুমোদন।বিচারপতির প্রস্তাব দেন তাহলে টাওয়ারটি প্রথমে চালু করা হোক।এর পর যদি ওই এলাকায় দূরারোগ্য ব্যাধির সংক্রমণ বাড়ছে তখন উপযুক্ত ব্যবস্থা গ্রহণকরার সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।আবেদন কারীর এই প্রস্তাবের সম্মতি আছে কিনা তা স্থানীয় মানুষের সঙ্গে আলোচনা করে আগামী বুধবারের মধ্যে আদালতে জানাতে হবে।