Date : 2024-04-26

পরিবেশবান্ধব কাগজের পেন বানিয়ে তাক লাগিয়ে দিয়েছে এক তরুণ বাঙালি যুবক

শাহিনা ইয়াসমিন,রিপোর্টার : পরিবেশকে দূষণের হাত বাঁচাতে পরিবেশপ্রেমীরা বার করছেন নতুন উপায়। যা সোশ্যাল মিডিয়া থেকে টিভির পর্দায় দেখতে পাওয়া যায়। পরিবেশকে বাঁচানোর এমনই উদ্যোগ নিয়েছেন এক তরুণ বাঙালি যুবক। পরিবেশবান্ধব জিনিস দিয়ে পেন তৈরি করে তাক লাগিয়ে দিয়েছেন তিনি।

প্লাস্টিক দূষণ বর্তমানে একটা বড় সমস্যা। পরিবেশের জন্য মারাত্মক ক্ষতিকারক। নানান কারণে অকারণে আমাদের দৈনন্দিন জীবনের সঙ্গে প্লাস্টিকের ব্যবহার ওতোপ্রতো জড়িত। প্লাস্টিকের ব্যবহারজনিত সমস্যা সম্পর্কে মানুষকে সচেতন করা সত্ত্বেও মানুষ সচেতন হচ্ছে না। তাই পরিবেশের কথা ভেবে পরিবেশবান্ধব পেন অর্থাত্ কাগজের পেন তৈরি করে তাক লাগিয়ে দিয়েছেন একুশ বছরের শুভজিত্ সাহা। শুভজিত্ এর বাড়ি টবিন রোডের কাছে। উচ্চমাধ্যমিক পর্যন্ত পড়ার পর আর পড়াশোনা হয়ে ওঠেনি শুভজিত্ এর৤ লকডাউনের জেরে কাজ হারান শুভজিত্। তাই ব্যবসার পথ বেছে নিয়েছেন তিনি। বাড়িতে বসেই নতুন এই ভাবনা বলে জানান শুভজিত্ সাহা।

লাল হলুদ সবুজ নানা রঙের কাগজের তৈরি এই পরিবেশবান্ধব পেনের গল্প এখানেই শেষ নয়। প্রতিটি কাগজের পেনের তলার দিকে রয়েছে একটি করে বীজ। পেন ফেলে দিলেও মাটিতে পড়লে বীজ থেকে বেরোবে নতুন প্রাণ।
শুধু শুভজিত্ একা নন, এই কাগজের পেন তৈরি করতে ১৫ থেকে ২০ জন মহিলাও কাজ করেন। মাত্র তিনটাকা থেকে পেনের দাম শুরু। নীল ও কালো কালির কাগজের এই পেনের একটি নামও আছে- রোহিত ফাইভ-জি। সোশ্যাল মিডিয়ায় জনপ্রিয়তা পাওয়ার পর থেকে অর্ডারের সংখ্যা বেড়েছে বলে জানান শুভজিত্। প্রথম দিকে কাগজের পেন তৈরি নিয়ে ক্রেতার মনে সংশয় দেখা দিলেও পরবর্তী সময়ে তা দূর হয়।

কলকাতা বইমেলার বেশ কিছু স্টলেও পাওয়া যাচ্ছে এই কাগজের পেন। ভবিষ্যতে আরও পরিবেশবান্ধব জিনিস তৈরি করার ইচ্ছা রয়েছে শুভজিত্ এর। তা নিয়ে রিসার্চও শুরু করে দিয়েছেন তিনি। তার এই কাজে পরিবারের সমর্থনের পাশাপাশি মানুষ তার এই কাগজের তৈরি পেনকে গ্রহণ করছে, তাতে খুশি শুভজিত্। জেলা থেকে রাজ্যে পৌঁছে গেছে শুভজিতের কাগজের পেন।
শুভজিৎ এর সঙ্গে যোগাযোগ নম্বর হলো 8910720684