পৌষালী সেনগুপ্ত , নিউজ ডেস্ক : ন্যা টো গোষ্ঠীতে যোগ দেওয়ার জন্যল যে উৎসাহ তাঁর দেশ দেখিয়েছিল তা থেকেও আপাতত পিছিয়ে আসছেন তাঁরা। সমঝোতা হতে পারে ডনবাস এলাকা নিয়েও।ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভোলোদিমির জেলেনস্কির কথায় নরম সুরের আভাস। ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট জানালেন, আলোচনায় বসার জন্যা দরজা খুলে রেখেছেন তিনি। জেলেনস্কির দেশের ন্যািটো-ভুক্ত হওয়ার জন্যব ‘ইচ্ছাপ্রকাশ’-ই অন্যলতম প্রধান ও স্পর্শকাতর কারণ ছিল ইউক্রেনের উপর রাশিয়ার আক্রমণের। তবে জেলেনস্কি জানান, বর্তমান পরিস্থিতিতে তিনি এবং তাঁর দেশ ন্যাাটোভুক্ত হওয়ার দাবি ছেড়ে সরে আসছে।অপরদিকে, মস্কোর ইচ্ছায় সায় দিয়ে ইউক্রেনের পূর্বপ্রান্তের লুহানস্ক এবং ডনেৎস্ক অঞ্চল, যা প্রধানত দেশের ভিতর ‘রুশ বিদ্রোহী’-দের এলাকা হিসাবে পরিচিত, সেই ডনবাস অঞ্চল নিয়েও আলোচনা করতে সম্মতি দিয়েছেন ইউক্রেনীয় প্রেসিডেন্ট। এই বিষয়টিকে কটাক্ষ করে জেলেনস্কি বলেন, ‘সিউডো রিপাবলিক’ রাশিয়া ছাড়া অন্যি কোনও দেশই লুহানস্ক এবং ডনেৎস্ক অঞ্চলকে স্বাধীন দেশের স্বীকৃতি দেয়নি। তবে এখন ইউক্রেনীয় প্রেসিডেন্টের বক্তব্য , “ন্যা টো ইউক্রেনকে গ্রহণ করার জন্য প্রস্তুত নয়। এই বিষয়টি বোঝার পরই আমি অনেকটাই শান্ত হয়ে গিয়েছি। ন্যাশটো জোটও এখন আমাদের গ্রহণ করতে ভয় পাচ্ছে কারণ তারা রাশিয়ার সঙ্গে প্রত্যশক্ষ শত্রুতায় যেতে চাইছে না।”জেলেনস্কির বক্তব্যা, তিনি এমন একটি দেশের প্রেসিডেন্ট হিসাবে পরিচিত হতে চান না, যারা হাঁটু মুড়ে বসে কোনও কিছুর জন্য ভিক্ষা চাইছে। এদিন জেলেনস্কি বলেন, “আমি নিরাপত্তার নিশ্চয়তা নিয়ে কথা বলতে চাই। তবে লুহানস্ক এবং ডনেৎস্ক অঞ্চলকে রাশিয়ার প্রজাতন্ত্র হিসাবে ঘোষণা করা নিয়েও আমরা কথা বলতেই পারি।” ইউক্রেনের ন্যারটোতে যোগদানকে মস্কো নিজের জন্যব বড় হুঁশিয়ারি বলে মনে করছে। তবে কিভের এই অবস্থান থেকে সরে আসার অর্থ, নিশ্চিতভাবেই দুই দেশের মধ্যে যুদ্ধে ছেদের কথা ভাবছে আন্তর্জাতিক মহল।
Facebook
Instagram
Twitter
Rplus is most proud of how its work impacts the real world and how it is using its powerful reach to campaign for and with the people of Bengal.