Date : 2024-04-26

হাইকোর্ট থেকে খালি হাতেই ফিরতে হলো বীরভূমের কেষ্টকে

ষষ্ঠী চট্টোপাধ্যায়, রিপোর্টার : সিবিআই থেকে যত দূরেই পালানোর চেষ্টা করছেন ততই বীরভূম তৃণমূলের জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডলের কাছে এসে পৌঁছে যাচ্ছে সিবিআই। সিবিআই এড়াতে হাতের উপর হাত দিয়ে গেলেও শেষ রক্ষা হল না। মঙ্গলবার কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি প্রকাশ শ্রীবাস্তব ও বিচারপতি রাজর্ষি ভারদ্বাজের ডিভিশন বেঞ্চ কেষ্ট দার রক্ষাকবচের আবেদন নাকচ করে দিয়েছেন।

মার্চের প্রথম সপ্তাহে সিবিআইয়ের গ্রেফতারি’ র আশঙ্কায় হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়ে ছিলেন বীরভূমের তৃণমূল কংগ্রেসের জেলা সভাপতি অনুব্রত মন্ডল।বার বার সিবিআই জিজ্ঞাসাবাদে জন্য এখন পর্যন্ত মোট চারটি নোটিশ পাঠিয়ে ছিল।বার দুয়েক তাঁর আইনজীবী মারফৎ নিজাম প্যালেসে ম্যাসেজ পাঠিয়েও শেষ রক্ষা হয়নি।অবশেষে গত১৫ই মার্চ কলকাতা সিবিআই দফতর নিজাম প্যালেসে হাজিরার বার্তা পাঠিয়েছিল সিবিআই।
কলকাতা দলের একটি অনুষ্ঠানে নেতাজি ইন্ডোর স্টাডিয়াম এবং রাজ্য বিধানসভায় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সাথে দেখা করতে দেখা করার পর এসএসকেএম হাসপাতালে গিয়েও কোন লাভ হয়নি।কারণ চিকিসকরা জানিয়ে দিয়েছিলেন হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার মত কিছুই নেই কেষ্ট দার।

মঙ্গলবার কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতির ডিভিশনবেঞ্চ অনুব্রত কে রক্ষাকবচ দিল না ।তাঁর আবেদন খারিজ করে দেয়।আপতত দেশের শীর্ষ আদালতে যাওয়া ছাড়া দ্বিতীয় কোন তাঁর খোলা নেই।

কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ।সিঙ্গল বেঞ্চের রায় বহাল রাখলো।তাতেই অস্বস্তি বাড়িয়েছে ওনার।

সিবিআর হাত থেকে বাঁচতে রক্ষাকবচ মামলায় সিবিআই প্রভাবশালী র তকমা সেটে দিয়েছে অনুব্রত মন্ডলের নামে। সিবিআই এখনো পর্যন্ত অনুব্রত মণ্ডল কে তিনবার তিনটি আলাদা কেসে সমন পাঠিয়েছে। অনুব্রত আবেদন ছিল সিবিআই তাকে হেরাস করার জন্য লিখে পাঠাচ্ছে। তার শারীরিক অবস্থা ভালো নয় তাই অনলাইন জিজ্ঞাসাবাদ করুক সিবিআই অথবা রক্ষাকবচ দিক কলকাতা হাইকোর্ট। প্রথমে সিঙ্গেল বেঞ্চ এ আবেদন জানালে সেই আবেদন খারিজ করে রাজশেখর মন্থর সিঙ্গল বেঞ্চ ।সিঙ্গল বেঞ্চের নির্দেশ কে চ্যালেঞ্জ করে প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ এ আবেদন করে অনুব্রত ।
সেই আবেদনের ভিত্তিতে শুনানি শেষে রায়দান স্থগিত ছিল। আজ তার রায়দান হয় ।একদিকে গরুপাচার তার ওপর রামপুরহাটের ঘটনায় কেষ্টদার সিবিআই তদন্ত আর জোরালো হচ্ছে তাতে আগামী দিনে তাঁর অক্সিজেনের প্রয়োজনীয়তা বাড়বে বৈকি কমবে না বলেই মনে করছেন হাইকোর্টের আইনজীবী মহলের একাংশ।