Date : 2024-04-26

আগামী সপ্তাহে মস্কো সফর রাষ্ট্রসংঘের প্রধানের

পৌষালী সেনগুপ্ত, নিউজ ডেস্ক ঃ রাষ্ট্রসংঘের প্রধান অ্যান্তনিও গুতেরেসও স্পষ্টতই জানিয়েছিলেন যে, আগ্রাসন চালিয়ে রাষ্ট্রসংঘের সনদের অবমাননা করেছে রাশিয়া। তারপর থেকেই গুতেরেসের ফোন ধরছিলেন না ক্ষিপ্ত রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। এই পরিস্থিতিতে আগামী সপ্তাহে মস্কো যাচ্ছেন রাষ্ট্রসংঘের প্রধান বলে সূত্রের খবর।মস্কোতে গিয়ে প্রেসিডেন্ট পুতিনের সঙ্গে সাক্ষাৎ করবেন তিনি।রাষ্ট্রসংঘ প্রধানের মুখপাত্র এরি কানেকো জানিয়েছেন, রুশ বিদেশমন্ত্রী সের্গেই লাভরভের সঙ্গে আহারপর্ব ও বৈঠকে শামিল হবেন গুতেরেস। ক্রেমলিনের তরফে জানানো হয়েছে, গুতেরেসের সঙ্গে আলোচনায় বসতে রাজি হয়েছেন প্রেসিডেন্ট পুতিন। আগামী মঙ্গলবার এই বৈঠক হতে চলেছে। জানা গিয়েছে, মস্কোর পর কিয়েভের উদ্দেশে রওনা দেবেন গুতেরেস। সেখানে আগামী বৃহস্পতিবার ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি ও বিদেশমন্ত্রী দিমিত্রি কুলেবার সঙ্গে আলোচনায় বসবেন তিনি। গত ২৪ ফেব্রুয়ারি ইউক্রেনে হামলা চালায় রাশিয়া।

তারপরই আমেরিকা ও পশ্চিমের দেশগুলি উদ্যোগে রাষ্ট্রসংঘে একাধিক নিন্দা প্রস্তাব পেশ হয় রাশিয়ার বিরুদ্ধে। রাষ্ট্রসংঘের প্রধান অ্যান্তনিও গুতেরেসও স্পষ্টতই জানিয়েছিলেন যে, আগ্রাসন চালিয়ে রাষ্ট্রসংঘের সনদের অবমাননা করেছে রাশিয়া। তারপর থেকেই গুতেরেসের ফোন ধরছিলেন না পুতিন।এর পরেই ব্যক্তিগত ভাবে দেখা করতে চেয়ে পুতিনকে চিঠি পাঠান গুতেরেস।ইউক্রেন যুদ্ধ রাষ্ট্রসংঘের অস্তিত্বের ক্ষেত্রেও আশঙ্কার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। এই যুদ্ধ নিয়ে পাঁচ সদস্যেরর নিরাপত্তা পরিষদ দু’ভাগে ভাগ হয়ে গিয়েছে। একদিকে রয়েছে আমেরিকা, ব্রিটেন ও ফ্রান্স। অন্যদিকে, রাশিয়া ও চিন। যুদ্ধের পরিস্থিতিতে রাষ্ট্রসংঘের দিকে তাকিয়ে রয়েছে গোটা বিশ্ব।তবে এখনও পর্যন্ত রাশিয়া কারও কথাতেই ভ্রূক্ষেপ করেনি। রাশিয়ার বিরুদ্ধে তাঁরা অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞা জারি করলেও তা্ঁর কোনো প্রভাবই রাশিয়ার ওপর পড়ছে না। ইতিমধ্যেই মারিয়ুপোলকে স্বাধীন ঘোষণা করেছে রাশিয়া। মারিয়ুপোলে আটকে রয়েছে প্রায় ১ লাখ মানুষ। এখন তাঁদের সেখান থেকে নিরাপদে বের করে আনাই মূল লক্ষ্য ইউক্রেন প্রশাসনের।