Date : 2024-04-26

সাংসদ, বিধায়ক, মন্ত্রী, আমলা কোনটাই নন।তাহলে কেন লালবাতির গাড়ি! নতুন করে আইনি জটে বীরভূমের কেষ্ট!

ষষ্ঠী চট্টোপাধ্যায়, সাংবাদিক: – বার বার তিনি শিরোনামে উঠে এসেছেন।কখন বিতর্কিত মন্তব্য আবার কখনও বিরোধীদের হুঙ্কার ।তিনি আর কেউ নন বীরভূমের তৃণমূলের জেলা সভাপতি অনুব্রত মন্ডল।এবার বেআইনি ভাবে লালবাতি ব্যবহার করার তালিকায় নাম উঠলো অনুব্রত মন্ডলের।
তিনি রাজ্যের কোন মন্ত্রী নয়, তিনি সাংসদ বা বিধায়ক নন, তাহলে কোন আইনে বছরের পর বছর ধরে পুলিশের নাকের ডগায় লালবাতি লাগানো গাড়ি চড়ছেন অনুব্রত মন্ডল।
তিনি শাসক দলের নেতা বলেই কি তাঁর বিরুদ্ধে পুলিশ কোন ব্যবস্থা নিচ্ছিলেন না।এই প্রশ্ন তুলে এবার কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি প্রকাশ শ্রীবাস্ত ও বিচারপতি রাজর্ষি ভারদ্বাজের ডিভিশন বেঞ্চে দায়ের হল জনস্বার্থ মামলা।

জনস্বার্থ মামলাকারি বিজেপি নেতা তথা আইনজীবী মামলায় দাবি করেছেন বরাবরই লালবাতি লাগানো গাড়িতে ঘোরেন বীরভূমের তৃণমূল সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল । চলতি মাসের শুরুতে সিবিআই তলবে সাড়া দিতে যখন কলকাতা এসেছিলেন অনুব্রত, তখনও সেই গাড়িতেই এসেছিলেন। পরের দিন হাসপাতালেও গিয়েছিলেন লালবাতি লাগানো গাড়িতে। সেই লালবাতির গাড়ি চড়া নিয়ে আইনি জটে।

কেন্দ্রীয় সড়ক পরিবহণ মন্ত্রকের নির্দেশ অনুযায়ী, কেউই ব্যক্তিগত গাড়িতে লালবাতি ব্যবহারের অনুমতি পান না। মন্ত্রী, বিধায়ক, সাংসদরাও নন। অ্যাম্বুল্যান্স ও দমকলের গাড়িতে নীলবাতি ব্যবহারের অনুমতি রয়েছে। সেক্ষেত্রে কীভাবে অনুব্রত দীর্ঘদিন ধরে লালবাতি লাগানো গাড়ি চড়লেন, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে।

টানা ১৭দিন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন থাকার পর চিনার পার্কের ফ্ল্যাটে ফিরেছেন।কিন্ত সেখানেও স্বস্তি নেই কেষ্ট দার।সিবিআই একের পর এক নোটিশে নাজেহাল বীরভূমের জেলা সভাপতির।কখন গরুপাচার আবার কখন ভোট পরবর্তী হিংসা মামলায় জোড়া তলবের মুখে কেষ্ট।সিবিআই দাফতের আসার সময় অসুস্থ হয়ে পড়েছিলেন অনুব্রত মন্ডল। সিবিআই থেকে নিস্তার পাইনি তার মধ্যেই শুক্রবার কলকাতা হাইকোর্টে তাঁর প্রিয় লালবাতি গাড়ি চড়া নিয়ে জনস্বার্থ মামলা করলেন বিজেপি। সোমবার মামলার শুনানি সম্ভাবনা প্রধান বিচারপতি র ডিভিশন বেঞ্চে।