Date : 2024-04-28

গুগলের ধাক্কায় হারিয়ে যাচ্ছে ডিকশনারি

গুগলের ধাক্কায় হারিয়ে যাচ্ছে ডিকশনারি

শাহিনা ইয়াসমিন, সাংবাদিক:- গুগলের ধাক্কায় হারিয়ে যাচ্ছে ডিকশনারি। মুখ থুবড়ে পড়েছে বিক্রি। কলেজস্ট্রিটে বইয়ের দোকানে ডিকশনারি অতীত। চিন্তায় প্রকাশকরা। বইয়ের অনাদারে এই হাল, বলছেন বই বিক্রেতারা৤
সকলের হাতে স্মার্টফোন। গুগল থাকতে ডিকশনারির দরকার কি ? কলেজস্ট্রিট বইপাড়ায় ডিকশনারি বিক্রি কমে গেছে। মোবাইলে সুবিধার জন্য ডিকশনারির ব্যবহার কমছে, বলে জানান বই বিক্রেতারা। এক শব্দের একাধিক প্রতিশব্দ শুধু নয়, ডিকশনারি থেকে জানা যায় সঠিক বানান, সঠিক উচ্চারণ,সমার্থক শব্দ ও আঞ্চলিক শব্দকোষ। বইয়ের চাহিদা কমলেও ডিকশনারির দাম বেড়েছে। মাত্র ৫ শতকরা পড়ুয়াদের জন্য রাখতে হচ্ছে ডিকশনারি। পড়ুয়াদের কাছে বইয়ের কদর কমেছে। বইয়ের প্রতি আদর নেই আগের মতো। এমনটাই অভিযোগ করলেন বই বিক্রেতা স্বপন সাহা। বইয়ের প্রতি ভালোবাসা রয়েছে। বই পড়তে আজও ভালোবাসি।এমনটাই জানালো অনুষ্কা দেবনাথ ও অর্ণব বৈরাগীর মতো পড়ুয়ারা। তবে কেন কমছে ডিকশনারির ব্যবহার- প্রশ্ন করা হলে তাদের মিশ্র প্রতিক্রিয়া পাওয়া গেল। কারোর কাছে গুগল হল সহজ পথ। আর কেউ বলল ডিকশনারি ইস বেস্ট।

বাংলা, হিন্দি, ইংরাজি, উর্দু, আরাবিক সহ ১৫০ রকম ভাষায় ডিকশনারি আছে দাশগুপ্ত কোম্পানিতে। লাইন দিয়ে সাজানো ডিকশনারি। দাশগুপ্ত কোম্পানির কর্ণধার অরবিন্দ দাশগুপ্ত জানান, লেখাপড়া মান কমে গেছে। এখনকার পড়ুয়ারা এক ক্লিকেই খুঁজে নিতে চাই। তবে স্ট্যাডার্ড পড়াশোনার জন্য ডিকশনারি প্রয়োজন। তবে ডিকশনারির ব্যবহার আবার বাড়বে বলে আশাবাদী তিনি। ছোট থেকে বড়-বই পড়ার প্রবণতা কমছে। কোনও শব্দের অর্থ ডিকশনারি থেকে খুঁজে বার না করার কুড়েমি বেড়েছে। আজকালের পড়ুয়ারা খাটতে চাইছে না। অভিযোগ শিক্ষকমহলের একাংশের। এর ফলে ক্ষতি হচ্ছে পড়ুয়াদেরই। সব কিছুর ভালো ও খারাপ দিক আছে। তেমনি অনলাইনে পড়াশোনার ক্ষেত্রেও তাই। অনলাইনে শব্দের অর্থ খুজঁলে একদিকে সময় বাঁচায়, খুঁজতে সহজ, উচ্চারণের অডিও পাওয়া যায়, সবসময় ডিকশনারি বহন করতে হয় না। এসব থাকা সত্ত্বেও ডিকশনারির ব্যবহার অপরিহার্য বলে মনে করছেন শিক্ষাবিদরা।