Date : 2024-05-03

কেক ছাড়া বড়দিনের সেলিব্রেশন ভাবাই যায় না। লেনিন সরণির বড়ুয়া বেকারিতে সেই ছবিই ধরা পড়ল।

শাহিনা ইয়াসমিন, সাংবাদিকঃ বড়দিন হোক বা নববর্ষ। শীতকালে বাঙালির কেক খাওয়ার মধ্যে একটা রোম্যান্স আছে। এই সময় ঘরে কেক আসবে না, এটা হতেই পারে না। পাঁচতারা থেকে পাড়ার দোকান, নানা দামের নানা রকমের কেকের পসরা সাজিয়ে বসেন ব্যবসায়ীরা। মধ্যবিত্তের জানা-অজানা বেকারির মধ্যে একটি বড়ুয়া বেকারি। এই বেকারির প্রতিষ্ঠাতা হলেন মনোরঞ্জন বড়ুয়া। সাধ্যের মধ্যে ক্রিসমাস কেকের সাবেকি স্বাদ পেতে আজও ভিড় জমে ১২৩, এ লেনিন সরণীর বড়ুয়া বেকারিতে। বড় একটি গেট। গেটের ওপরেই লেখা বড়ুয়া বেকারির নাম। সামনেই দেখা যাচ্ছে পুরনো একটি বাড়ি।

এই বাড়িতে ১৯২৮ সালে স্থাপিত হয়েছিল বড়ুয়া বেকারি। তবে বাড়িটির বয়স আরও বেশি। বাড়িটির গায়ে খোদাই করা আছে সাল ১৯২১। বর্তমানে যৌথ উদ্যোগেই চলছে ব্যবসা। এমনটাই জানালেন বড়ুয়া বেকারির দুই কর্ণধার সৌরভ বড়ুয়া, ইমেলি বড়ুয়া। বড়ুয়া বেকারি বেকারির ভিতরে প্রবেশ করতেই দেখা গেল কেক মিক্সিং এর বড় একটি মেশিন। তাতেই ময়দা, ডিম, ড্রাইফ্রুটস, চিনি দিয়ে মিক্স করার কাজ চলছে৤ এবং মিক্স করার পর বিভিন্ন সাইজের পাত্রে মিক্সার ঢেলে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে উনুনে। বারোমাস টিফিন কেক, পাউরুটি তো তৈরি হয় তবে ক্রিসমাসের সময় স্পেশাল ফ্রুট কেক, প্লেন কেক, প্লাম কেক, ফ্রুট কেক পাওয়া যায়।

প্রতিষ্ঠাতা মনোরঞ্জন বড়ুয়া সেই সময় যে প্রণালীতে কেক তৈরি করতেন সেইভাবে আজও কেক তৈরি হয় বলে জানালেন সুধীর বড়ুয়া। বর্তমানে বড়ুয়া বেকারির বয়স ৯৪ বছর। তাতেও কেকের স্বাদে কোনও পরিবর্তন হয়নি। তাই ১৫-২০ বছর ধরে বড়ুয়া বেকারি থেকে কেক নিয়ে যাচ্ছেন অভিষেক মুখার্জী। শুধু কলকাতার মধ্যেই সীমাবদ্ধ নয়, কলকাতার বাইরেও যায় বড়ুয়া বেকারির কেক। সুস্বাদু খাবারের তালিকায় যেসব পদ আসে, তার মধ্যে কেক অন্যতম। তাই ক্রিসমাস ও নিউ ইয়ারে কেক খেতে ও কিনতে ভিড় জমে বড়ুয়া বেকারিতে।