নাজিয়া রহমান, সাংবাদিক : উচ্চ প্রাথমিকে কাউন্সেলিংয়ে যোগ দিতে আসা হবু শিক্ষকের একাংশের মধ্যে গ্রামের স্কুলে অনীহা। এসএসসি সূত্রের খবর,হবু শিক্ষকদের এই অনীহার মূলে প্রত্যন্ত গ্রামের স্কুলে চাকরি। এটা খুবই উদ্বেগ জনক বলে মত শিক্ষাবিদদের।
বহু আইনি লড়াইয়ে পর অবশেষে হাইকোর্টের নির্দেশে শুরু হয়েছে উচ্চ প্রাথমিকে কাউন্সেলিং। স্কুল সার্ভিস কমিশন সূত্রের খবর, চাকরি পেয়েও হবু শিক্ষকদের একাংশ চাকরি নিচ্ছেন না। চাকরি না নেওয়ার কারণ হিসেবে উঠে আসছে গ্রামাঞ্চল আর দূরত্ব। ৯ দিন কাউন্সেলিং হয়েছে প্রতিদিন গড়ে প্রায় ৫ জন করে হবু শিক্ষক চাকরি প্রত্যাখ্যান করেছেন। সূত্র,পুরুলিয়া, পশ্চিম মেদিনীপুর, ঝাড়গ্রামের মত জেলার প্রত্যন্ত গ্রামে চাকরি হওয়ায় চাকরি করতে অনীহা হবু শিক্ষকদের। যার ফলে কাউন্সেলিংয়ে যোগ দিতে এসেও চাকরি না নিয়েই ফিরে যাচ্ছেন। তবে চাকরি না নেওয়ার পিছনে গ্রামাঞ্চল নয় আরও অন্য কয়েকটি কারণ আছে বলে মত স্কুল সার্ভিস কমিশনের চেয়ারম্যান সিদ্ধার্থ মজুমদারের। তিনি জানান, ন’দিন কাউন্সেলিং হয়েছে। এই ন’দিনে প্রায় ৫৯০০ প্রার্থীকে ডাকা হয়েছিল। তার মধ্যে প্রতিদিন গড়ে পাঁচ জন উপস্থিত হয়েও প্রত্যাখ্যান করেছেন। এদের সঙ্গে কথা বলে যেটা মনে হয়েছে অনেকেই অন্যত্র চাকরি করেন। এরা হয়তো বাড়ির কোনো কাছে চাকরি করেন। তারা দূরে যেতে চাইছেন না ফলে গ্রামের দিকে যাচ্ছেন না এটা নয়,এরা দূরে যেতে চাইছেন না ।
হবু শিক্ষকদের মধ্যে এই প্রবণতা উদ্বেগজনক বলে মত শিক্ষাবিদদের । যেখানে চাকরির জন্য আন্দোলন করছেন একদল, সেখানে চাকরি পেয়েও না নেওয়ায় বিস্ময়প্রকাশ করছেন শিক্ষাবিদদের একাংশ।
তবে যেখানে দূরত্ব ও গ্রামে পোস্টিংয়ের জন্য চাকরির কাউন্সেলিংয়ে এসে অনীহা প্রকাশ করেছেন একদল তেমনি বিদেশ থেকে ফিরে দেশের মাটিতে চাকরি করার ইচ্ছেও দেখা গেছে বেশ কিছু হবু শিক্ষকের মধ্যে। এই শিক্ষকদের সাধুবাদ প্রাপ্য বলেই মত শিক্ষাবিদদের।