Date : 2024-05-04

চাকরিপ্রার্থীর সঙ্গে অবিচার করেছেন কল্যাণময় গঙ্গোপাধ্যায়, রাজ্যকে নির্দেশ দু সপ্তাহের মধ্যে চাকরিতে ফেরাতে হবে যোগ্য প্রার্থীকে নির্দেশ বিচারপতি অনিরুদ্ধ রায়ের।

ষষ্ঠী চট্টোপাধ্যায়, সাংবাদিক : বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের নির্দেশে এসএসসির নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় তদন্ত করছে সিবিআই। সেই মামলায় বর্তমানে জেল হেফাজতে রয়েছেন মধ্যশিক্ষা পর্ষদের প্রাক্তন সভাপতি কল্যাণময় গঙ্গোপাধ্যায়।

কল্যাণময় গঙ্গোপাধ্যায় অবিচার করেছেন, যোগ্য এবং মেদাতালিকায় প্রথমে থাকা চাকরিপ্রার্থীকে অবিলম্বে রাজ্য সরকার নতুন শূন্যপদ তৈরি করে চাকরিপ্রার্থীকে নিয়োগপত্র তুলে দেওয়ার নির্দেশ বিচারপতি অনিরুদ্ধ রাযয়ের।
মেধাতালিকায় প্রথম হয়েও মেলেনি চাকরি এবং যারা ওয়েটিং লিস্টে ছিল তাঁরা গত তিন বছর ধরে বহাল তবিয়তে চাকরি করছেন শুধুমাত্র কল্যাণময় গঙ্গোপাধ্যায়এবং স্কুল সার্ভিস কমিশনের গাফিলতির কারণে এমনটাই অভিযোগ মানলাকারীর।

তথাগত বন্দ্যোপাধ্যায় ২০১৬ সালের নবম দশমের এসএলএসটি পরীক্ষায় মেধাতালিকায় সে প্রথম স্থান ছিল। দুটি মাধ্যম ছিল একটি ইংরেজী মাধ্যম আরেকটি বাংলা মাধ্যম কিন্তু তথাগত ইংরেজি মাধ্যম স্কুলেরঅঙ্কের শিক্ষক কের জন্যই নথিভূক্ত হয়েছিলেন। ২০১৯ সালের ৫ ফেব্রুয়ারি তাকে সুপারিশ পত্র দেয় রাজ্যের স্কুল সার্ভিস কমিশন এবং উত্তর দিনাজপুরের সিট গ্রাম বিদ্যাভবন (উচ্চমাধ্যমিক) স্কুলে নিয়োগের জন্য বলা হয়।

স্কুল সার্ভিস কমিশনের সুপারিশ পত্র পাওয়ার পরে মধ্যশিক্ষা পর্ষদের তৎকালীন সভাপতি কল্যাণময় গঙ্গোপাধ্যায় নিয়োগ পত্র তুলে দেন তথাগতর হাতে। তারপর তথাগত ব্যানার্জি সংশ্লিষ্ট স্কুলে যোগদান করতে গিয়ে দেখে সেখানে বাংলা মাধ্যমে পঠন পাঠন হয়।ইংরেজি মাধ্যমের নয়। তাই সেখানে শূন্য পদ নেই। নিরুপায় তথাগত এসএসসি এবং মধ্যশিক্ষা পর্ষদের দারস্ত হয়ে পুরো বিষয়টি জানানোর পরেও উভয় পক্ষই কোনরকম কোন পদক্ষেপ না নেওয়ায় অবশেষে কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন তথাগত বাবু।

বুধবার মামলার শুনানিতে তথাগত বন্দ্যোপাধ্যায়ের আইনজীবী আশীষ কুমার চৌধুরী আদালতে জানান একজন বৈধ তালিকাভুক্ত যিনি ২০১৯ সাল থেকে যোগ্য প্রার্থী হয়েও এসএসসি এবং মধ্যশিক্ষা পর্ষদের গাফিলতির কারণে নিয়োগ থেকে বঞ্চিত হয়ে আছেন। অথচ যারা ওয়েটিং লিস্টে রয়েছেন এবং তথাগতর থেকে অনেক কম নাম্বার পেয়েছেন তাঁরা বহাল তবিয়তে চাকরি করে যাচ্ছেন।

এদিন বিচারপতি অনিরুদ্ধ রায় চূড়ান্ত নির্দেশ দিতে গিয়ে বলেন এটি “সঠিক বিষয় নয় প্রার্থীর প্রতি অবিচার করা হয়েছে” রাজ্য সরকারকে আমি অবিলম্বে নির্দেশ দিচ্ছি দু সপ্তাহের মধ্যে শূন্যপদ তৈরি করতে হবে এবং এসএসসি কে বিষয়টি জানানোর পর এসএসসি আরও দু সপ্তাহের মধ্যে ওই যোগ্য প্রার্থীকে নিয়োগপত্র তুলে দেবেন।