Date : 2024-04-26

সস্তায় পুষ্টিকর জলখাবার খেতে হলে একবার আসতেই হবে ব্রো স্ন্যাক্সের খাবারের দোকানে

শাহিনা ইয়াসমিন, সাংবাদিক : – স্ন্যাক্স মানে কি? বাংলায় পাতি ভাষায় যাকে বলে জলখাবার। সেই স্ন্যাক্স বা জলখাবার বলতে বোঝায় তেলে ভাজা মুখরোচক কিছু খাবার। উদাহরণ স্বরূপ যদি বলা যায় তাহলো বিভিন্ন রকমের ভেজ-ননভেজ স্যান্ডউইচ, পেটিস, রোল, চাউমিন ইত্যাদি। এই ধরণের স্ন্যাক্স যদি আবার সস্তায় পাওয়া যায় তাহলে আর কথা হবে না। খাদ্যপ্রেমিরা সস্তায় সুস্বাদু খাবারের দোকান হন্যে হয়ে খুঁজতে থাকেন। ফুটপাতে থাকা ছোট এমন বহু দোকান আছে যার খাবার নামকরা দোকানের খাবারকে হার মানিয়ে দেবে। এমনি এক খাবার দোকান পেলাম উত্তর কলকাতায় গোপাল চন্দ্র বোস লেনে। রাস্তার ওপর ছোট্ট একটি দোকান। বিভিন্ন স্যান্ডউইচ,ম্যাগি সহ ৩০ রকমের খাবার পাওয়া যায় এই দোকানে। তিরিশ রকমের খাবারের মধ্য থেকেই চিজ-এগ স্যান্ডউইচ করে দেখালো দোকানের মালিক রণজিত হালদার। যা খেলেই পেট ভরে যাবে।

২৪ বছরের রণজিত নিজেই দশভুজা। নিমেষের মধ্যে তৈরি করে ফেলল স্যান্ডউইচ, ম্যাগি। যেকোনও জলখাবারের সঙ্গে চা বা কফি পেলে সন্ধ্যেটা বেশ জমে যায়। তাই রকমারি চাও তৈরি করে রণজিত। জলখাবারের পাশাপাশি চা ও কফি পাবেন এই ব্রো স্ন্যাক্স দোকানে। রকমারি চায়ের মধ্যে চকোলেট চা করে দেখালো রণজিত। জেমস, চকোলেট দিয়ে সুন্দর করে সাজিয়ে পরিবেশন করা দেখেই লোভ সামলানো খুবই চাপের। নামকরা রেস্তোরাঁ বা ফাস্টফুডে খাবারের দাম অনেক বেশি। কিন্তু এখানে খাবারের দাম শুরুই ৩০ টাকা থেকে।

সস্তায়-সুস্বাদু-পরিমাণে বেশি হওয়া চাই – এই ধরণের খাবারের খোঁজ করে থাকলে, সেই খোঁজ শেষ হয় রণজিত হালদারের দোকান ব্রো স্ন্যাক্সে গেলেই। বেসরকারি দফতরে কাজ করত রণজিত। করোনার জন্য চাকরি চলে যায়। তারপর থেকেই নিজের ব্যবসা শুরু করেছে। ফাস্টফু়ডের দোকান খোলে। দোকানে শুধু রণজিত একা থাকে না। ছেলেকে কাজে সাহায্যে করতে পাশে থাকে রণজিতের মা সবিতা হালদার। রণজিতের খাবার খেয়ে বেশ প্রশংসা করলো প্রতিদিন এই দোকানে খাবার খেতে আসা রবি শঙ্কর, অমিত সামন্তরা। অন্যান্য দিনের ন্যায় রবিবারও দোকানটি খোলা থাকে। সকালে ৮টা থেকে বেলা ১টা পর্যন্ত। আবার বিকেল ৪টে থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত খোলা। যারা খেতে ভালোবাসেন তারা একবার এখানে এসে খাবার টেস্ট করতেই পারেন।