সঞ্জু সুর, সাংবাদিক ঃ পশ্চিমবঙ্গের উলুবেড়িয়া থেকে উত্তরপ্রদেশের বারানসি। প্রায় ৬১০ কিলোমিটারের এক বিশাল এক্সপ্রেসওয়ের মাধ্যমে জুড়তে চলেছে আগামি কয়েক বছরের মধ্যে। এই এক্সপ্রেসওয়ে তৈরির কাজে জমি জট যাতে কোনো সমস্যা তৈরি করতে না পারে তারজন্য রাজ্যের পাঁচটি জেলার জেলাশাসককে নির্দেশ দিলেন মুখ্যসচিব হরিকৃষ্ণ দ্বিবেদী। বৃহস্পতিবার নবান্ন থেকে ভার্চুয়াল বৈঠক করে এই নির্দেশ তিনি দিয়েছেন বলেই নবান্ন সূত্রে খবর।
কেন্দ্রের ভারতমালা প্রকল্পের আওতায় পূর্বের কলকাতার সঙ্গে উত্তর ভারতের উত্তরপ্রদেশের বারানসি পর্যন্ত চার থেকে ছয় লেনের একটি এক্সপ্রেসওয়ে তৈরির সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। এই এক্সপ্রেসওয়ে তৈরির কাজের আনুষ্ঠানিক সূচনা হওয়ার কথা ২০২৩ সালের জানুয়ারি মাসে। ইতিমধ্যেই উত্তরপ্রদেশ ও বিহারের জন্য অর্থ বরাদ্দ করাও হয়ে গিয়েছে। হয়ে গিয়েছে টেন্ডার প্রসেসের কাজও। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও বেশ কয়েকবার এই এক্সপ্রেসওয়ে তৈরির বিষয়ে বলেছেন। নবান্ন সূত্রে খবর, মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে বৃহস্পতিবার মুখ্যসচিব হরিকৃষ্ণ দ্বিবেদী এই বিষয় নিয়ে রাজ্যের পাঁচটি জেলার জেলাশাসকের সঙ্গে ভার্চুয়াল বৈঠক করেন। নবান্ন ও জেলা সূত্রে খবর বৈঠকে মুখ্যসচিব জানিয়েছেন এতবড় একটা প্রজেক্টের কাজ যাতে সুষ্ঠুভাবে হয় সেটা নিশ্চিত করতে হবে। কারণ মোট ৬১০ কিঃমিঃ রাস্তার মধ্যে শুধু আমাদের রাজ্যেই রয়েছে প্রায় ২৪২ কিঃমিঃ, যা বাকি সব রাজ্যের মধ্যে সবচেয়ে বেশি। ফলে রাস্তার জন্য জমি অধিগ্রহণের ক্ষেত্রে সমস্যা দেখা দিতে পারে। এই বিষয়ে সংবেদনশীল হয়েই জমি অধিগ্রহণের কাজ করতে হবে। সংশ্লিষ্ট সকলকে (মূলতঃ যাদের জমি অধিগ্রহণের আওতায় পড়বে) কনফিডেন্সে নিয়েই এই কাজ করতে হবে বলে পই পই করে বলে দিয়েছেন মুখ্যসচিব। সামনেই পঞ্চায়েত নির্বাচন। তার আগে এই প্রজেক্টের জমি অধিগ্রহণ নিয়ে প্রশাসনকে যাতে কোনো ঝামেলার সম্মুখীন না হতে সেটা নিশ্চিত করাই এখন নবান্নের লক্ষ্য। সেই সঙ্গে প্রজেক্টের কাজেও যাতে বাঁধা না পড়ে সেটাও মাথায় রাখতে হচ্ছে। ২০২২ সালের কেন্দ্রীয় বাজেটে এই প্রকল্পের বিষয়ে অর্থ বরাদ্দ করে কেন্দ্র। ভারতমালা প্রকল্পের আওতায় এই এক্সপ্রেসওয়ের সবচেয়ে বড় অংশ (প্রায় ২৪২ কিঃমিঃ) রাজ্যের মধ্যে পড়ছে। ঝাড়খন্ডে তৈরি হবে ১৮৭ কিঃমিঃ, বিহারে ১৫৯ কিঃমিঃ ও উত্তরপ্রদেশের আওতায় থাকছে মাত্র ২২ কিঃমিঃ রাস্তা। ২০২৩ সালের জানুয়ারি তে শুরু হয়ে ২০২৭/২০২৮ সালের মধ্যেই সম্পুর্ণ এক্সপ্রেসওয়ের কাজ শেষ করার লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে।