Date : 2024-04-27

এডিনো ভাইরাস- আতঙ্কের নয়া নাম

সায়ন্তিকা ব্যানার্জি, সাংবাদিক: করোনার পর এবার রাজ্যে নয়া আতঙ্কের নাম এডিনো ভাইরাস। চলতি বছরের শুরু থেকেই মাত্রাতিরিক্ত ভাবে বেড়েছে আক্রান্তের সংখ্যা। পরিস্থিতি সামলাতে স্কুল এবং হাসপাতালগুলির জন্য একাধিক নির্দেশিকা জারি করল রাজ্যের স্বাস্থ্য দফতর।

এই মুহুর্তে কলকাতার একাধিক নার্সিংহোমে এবং হাসপাতালে এই রোগে আক্রান্তদের চিকিৎসা চলছে। একই অবস্থা জেলাতেও। স্বাস্থ্য দফতরের তরফে গত দেড় মাসে নাইসেডের কাছে পাঠানো ৫০০টি নমুনার মধ্যে প্রায় ৩৩%এই ভাইরাসে আক্রান্ত নমুনা বলে জানানো হয়েছে৷ রাইনো ভাইরাস ১২% প্যারা ইনফ্লুয়েঞ্জা ভাইরাসে আক্রান্ত ১৩%।

স্কুলগুলির জন্য জারি নির্দেশিকায় বলা হয়েছে, অসুস্থ শিশুকে স্কুলে পাঠাবেন না। কোন শিশুর ৩-৫দিন জ্বর সর্দি কাশি থাকলে সতর্ক হন, এড়িয়ে চলতে হবে ভিড় জায়গা, বাচ্চা এবং প্রাপ্ত বয়স্ক উভয়ের ক্ষেত্রেই বাস-ট্রেন-রাস্তায় মাস্কের ব্যবহার করতে হবে।নিজের ইচ্ছে মত অ্যান্টিবায়োটিক খাবেন না। উপসর্গ দেখা দিলেই চিকিৎসকের কাছে যাওয়া জরুরি।

হাসপাতালগুলিকে বলা হয়েছে—

প্রতিদিনের তথ্য পাঠাতে হবে স্বাস্থ্য ভবনে

বাড়াতে হবে শ্বাসকষ্টজনিত রোগীর বেড সংখ্যা

সিএম‌ওএইচ, মেডিক্যাল কলেজগুলিকে বলা হয়েছে পেডিয়াট্রিক ভেন্টিলেটর, অক্সিজেনের জোগানে নজরদারির জন্য

এডিনো ভাইরাস নিয়ে শহরের চিত্রটা ঠিক কেমন

আমরিতে ১১৫ জন আইসিইউতে ২২জন
ফর্টিসে ৩৪ জন, আইসিইউতে ৭ জন
মেডিকায় ৫৬ জন আইসিইউ ১৭ জন
রুবি হাসপাতালে ৩৩জন আইসিইউ ১১জন
বি.সি রায় শিশু হাসপাতালের ৪৫টি পিকু ও এইচডিইউ বেড‌ই ভর্তি
মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের মাদার অ্যান্ড চাইল্ড হাবের ২০টি বেডের মধ্যে ১০টি ভর্তি।

সব মিলিয়ে চিন্তার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে এই ভাইরাস। গত ২ বছর করোনার কারণে সেভাবে দাপট না দেখালেও চলতি বছর ফের ত্রাস এডিনো ভাইরাস।