Date : 2024-05-02

বিশ্বকাপের ম্যাচ দেওয়া নিয়ে এবার সরগরম রাজনৈতিক মহল

2023 ক্রিকেট বিশ্বকাপ হচ্ছে ভারতে। আর সেই ভারতেই কিনা ম্যাচ আয়োজনে দায়িত্বই পেল না মোহালি স্টেডিয়াম। ম্যাচ না পাওয়ার তালিকায় রয়েছে কেরলও। একান্ত রাজনৈতিক কারণেই দুই রাজ্যে ম্যাচ দেওয়া হয়নি, দাবি রাজনৈতিকমহলের একাংশের।

বিশ্বকাপের ম্যাচ দেওয়া নিয়ে এবার সরগরম রাজনৈতিক মহল। সচরাচর যা ভারতে বিরল। এবারের বিশ্বকাপে একটিও ম্যাচ পায়নি কেরল বা পঞ্জাব। অথচ এই দুই রাজ্যেই রয়েছে ভারতের অন্যতম দুটি স্টেডিয়াম মোহালি এবং থিরুবনন্তপুরম। ভারতীয় দলের বহু ম্যাচই এই দুই স্টেডিয়ামে সচরাচর হয়ে থাকে, কিন্তু অবাক বিষয়। এবারের বিশ্বকাপের একটি ম্যাচও পায়নি এই দুই স্টেডিয়াম। ভারতের ম্যাচ নাই বা হোক, লিগ রাউন্ডেরও কোনও ম্যাচ পায়নি এই দুই স্টেডিয়াম। আর তাতেই রাজনীতির গন্ধ খুঁজে পাচ্ছে শশি থারুরসহ বহু রাজনীতিবিদই। অনেকেরই মত, পঞ্জাব এবং কেরলে রয়েছে আপ এবং বামেদের সরকার। যারা কেন্দ্রের শাসক দলের বিরোধী বলেই পরিচিত। আর কেন্দ্রে শাসক দল যারা থাকে তারাই বিসিসিআইতে বেশিরভাগ সময়ই ক্ষমতায় থাকে, এই মিথও সত্যি। ফলে শশি থারুরের অভিযোগ, মোহালির মতো বিশ্ববিখ্যাত স্টেডিয়ামে ম্যাচ না দেওয়ার আর কোনও কারণই নেই। শুধুমাত্র বিজেপি বিরোধী সরকার থাকায় সেখানে খেলা দেওয়া হয়নি। যদিও বিশ্বকাপের আগে প্রস্তুতি ম্যাচের দায়িত্ব পেয়েছে কেরল। কিন্তু একটিও লিগ স্টেজের খেলা পায়নি তারা। যদিও তার অভিযোগ ভিত্তিহীন বলেই দাবি করেছেন তার দলের রাজ্যসভার সাংসদ তথা বিসিসিআইয়ের সহ সভাপতি রাজীব শুক্ল। দুই স্থানেরই মাঠ আইসিসি বিশ্বকাপের মতো উপযুক্ত নয় বলে দাবি করেছেন তিনি। সেই কারণেই ম্যাচ দেওয়া হয়নি বলে জানিয়েছেন তিনি। তার দাবিও যথার্থ। কারণ কর্ণাটকের চিন্নাস্বামি বা চেন্নাইয়ের চিদাম্বরম স্টেডিয়ামে ভারতের ম্যাচ দেওয়া হয়েছে। কলকাতার ইডেন গার্ডেন্স অবশ্য সব সময়ের মতোই বাকিদের থেকে আলাদা। কারণ রাজনীতির সঙ্গে ইডেনের খ্যাতির কোনও সম্পর্কই টানা যায় না। ফলে বিশ্বকাপের ভেনু প্রকাশের পরই ক্রিকেট নিয়েও রাজনীতি শুরু হয়ে গেল, তা বলাই যায়।