Date : 2024-05-02

এশিয়ান গেমসের আগে মহা-সমস্যায় ভারতীয় কোচ এবং অধিনায়ক

এশিয়ান গেমসের আগে মহা-সমস্যায় ভারতীয় কোচ এবং অধিনায়ক। আইএসএল দলগুলিতে প্রথম সারির ফুটবলার ছাড়া না হওয়ায় ভাঙাচোড়া দল নিয়ে এশিয়ান গেমসে খেলতে যাচ্ছে টিম ইন্ডিয়া। এই দল নিয়ে খেললে দেশের সম্মানহানি হতে পারে, এই আশঙ্কায় আইএসএল ক্লাবগুলোকে ফুটবলার ছাড়তে অনুরোধ করলেন সুনীল ছেত্রী।

এশিয়ান গেমসের জন্য ঘোষিত ভারতীয় দল নিয়ে ইতিমধ্যেই শুরু হয়েছে জল্পনা। সেই স্কোয়াডে সিনিয়রদের মধ্যে রাখা হয়েছে স্রেফ সুনীল ছেত্রীকে। এই দল নিয়ে চিনে খেলতে গেলে প্রভুত সমস্যা হবে বলেই মনে করছেন ভারতের অধিনায়ক সুনীল ছেত্রী। কারণ কোচ ইগর স্টিম্যাচকে একপ্রকার বাধ্য হয়েই এশিয়ান গেমসের জন্য অপ্রস্তুত এবং অনভিজ্ঞ এক দল নিয়ে যেতে হচ্ছে। আইএসএল ক্লাবগুলো সব ফুটবলার ছাড়ছে না। একান্ত বাধ্য হয়েই তাই রিজার্ভ দলের ফুটবলারদের নিয়ে দল গঠন করতে হয়েছে স্টিম্যাচকে। এশিয়ান গেমসের স্কোয়াডে এমন ফুটবলারও ঠাই পেয়েছেন, যিনি দেশের জার্সিতে একটি ম্যাচও খেলেননি। যেমন স্যামুয়েল জেমস, আজফার নুরানি। এই দলের এগারো জন ফুটবলার সিনিয়র দলের হয়ে কখনও খেলেনইনি। আরও অবাক লাগবে শুনতে, এই স্কোয়াডের 6 জনকে তো প্রথমবার ডাকাই হল জাতীয় দলের স্কোয়াডে। যা দেখেই বোঝা যাচ্ছে সেপ্টেম্বরের 19 তারিখ থেকে শুরু হতে চলা ভারতীয় ফুটবল দলের এশিয়ান গেমসে অভিযানের ভবিতব্য কি হতে চলেছে। গ্রুপে রয়েছে চীন, বাংলাদেশ এবং মায়ানমার। এর মধ্যে চীন শক্তিশালি দল। তবে এমন ভাঙাচোড়া দল নিয়ে যদি বাংলাদেশ বা মায়ানমারের বিপক্ষেও হারতে হয় ভারতকে, তাহলে যে জাতীয় দলের মানহানি হবে তা এক প্রকার স্পষ্ট। সুনীল ছেত্রীও সেই জন্য আইএসএল ক্লাবগুলোর কাছে অনুরোধ করছেন, যাতে তারা অন্তত দুজন করে ফুটবলার ছাড়েন দেশের স্বার্থের কথা মাথায় রেখে। উল্লেখ্য সেই সময় আইএসএল শুরু হয়ে যাওয়ায় এবং ফিফা ক্যালেন্ডারে না থাকায় ক্লাবগুলো ফুটবলার ছাড়তে তৈরি নয়। বহু টালবাহানার পর অবশেষে কেন্দ্রীয় ক্রীড়ামন্ত্রক দলকে এশিয়ান গেমসে খেলতে যাওয়ার ছাড়পত্র দেয়। তবে পরিস্থিতি এখন অত্যন্ত সমস্যার। সুনীল তো বলেই ফেলছেন, সুমিত রাঠি, নরেন্দ্র গেহলোটের সঙ্গে তিনি কবে খেলেছেন তাই মনে নেই। শুধু তাই নয়, ভারত অধিনায়কের বক্তব্য, এশিয়ান কাপের মতো গুরুত্বপূর্ণ প্রতিযোগিতার আগে পর্যাপ্ত ট্রেনিং দরকার ছিল। সেটা না হওয়ায় অন্তত চেনা দল পাঠানো উচিত ছিল। এখন দেখার শেষ পর্যন্ত এশিয়ান গেমসে ভারতীয় ফুটবল দল কতদুর এগোতে পারে।