ষষ্ঠী চট্টোপাধ্যায়, সাংবাদিক : বুধবার মামলার শুনানি চলাকালীন SIT প্রধান কে জয়রামনের নেতৃত্বাধীন দলের উদ্দেশ্যে বিচারপতি জয় সেনগুপ্ত বলে আমার আশঙ্ক যে ভাবে তদন্ত চলছে তাতে করে তথ্য প্রমান লোপাট হয়ে যাওয়ার সম্ভবনা থেকে যাচ্ছে। IIT খড়গপুরের মতো কলেজে আসামের একজন ছাত্রর মৃত্যুতে কলেজ কর্তৃপক্ষ চাইবে যে সঠিক এবং নিরপেক্ষ তদন্ত হোক, কিন্ত এখানে আই আই টি খরগপুর এর ভূমিকা যথেষ্ট সন্দেহজনক । ভবিষ্যতে এই ছাত্র মৃত্যুর দায় কার ঘাড়ে গিয়ে পড়বে সেটা ভেবে আমি চিন্তিত।
১৩ ই সেপ্টেম্বর ২০২৩ থেকে ১৮ ই নভেম্বর ২০২৩ পর্যন্ত CFSL এর রিপোর্ট হাতে পাওয়ার পর হাই কোর্টের গঠিত নতুন এস আই টি তারা কি তদন্ত করলো?, তদন্ত নিয়ে উশ্ম প্রকাশ করেন বিচারপতি। “এত ধীর গতিতে যদি তদন্ত চলতে থাকে তাহলে তদন্ত কবে শেষ হবে তাও স্পষ্ট হচ্ছে না।
এদিন সিট এর পক্ষ থেকে আদালতে তারা জানায় বেশ কিছু সন্দেহভাজন ছাত্রের নাম কলেজ কতৃপক্ষ এর কাছে পাঠানো হয়েছে জিজ্ঞাসাবাদ করার জন্য কিন্তূ কলেজ তা অনুমোদন না করে তারা জানায় এখন ছাত্রদের পরীক্ষা চলছে তাই তাদের এখন জিজ্ঞাসাবাদ করা যাবে না।
আগামী ২৫এ নভেম্বর সিট্ ওই সমস্ত সন্দেহভাজন ছাত্রদের জিজ্ঞাসাবাদ করবে বলে জানিয়েছে আদালদ এর কাছে। IIT কলেজ কর্তৃপক্ষের তরফে আইনজীবী অনিন্দ্য মিত্র আদালতে দৃষ্টি আকর্ষণ করে জানান সিঙ্গেল বেঞ্চের মামলার গ্রহণ যোগ্যতা নিয়ে ডিভিশন বেঞ্চে মামলা দায়ের করেছেন।
যদিও বিচারপতি জয় সেনগুপ্ত তাতে আমল দেননি। তিনি তাতে বিরক্ত আদালতের পর্যবেক্ষণ, এতদিন ধরে একটা খুনের তদন্তে অযথা সময় নষ্ট হচ্ছে। এর মধ্যে তথ্য প্রমাণ লোপাট হতে পারে। এর দায় কে নেবে! আইআইটি কেন আপত্তি করছে তাও অজানা। SIT এর কাছে মামলার কেস ডায়েরি তলব করেন বিচারপতি। কেস ডায়েরি দেখে হতাশ প্রকাশ করেন বিচারপতি জয়সেনগুপ্তের। তিন মাস কেটে গেছে সিট্ কিছুই তদন্ত করেনি।
আগামী ১৮ ই ডিসেম্বর সন্দেহভাজন ছাত্রদের জিজ্ঞাসাবাদ করে তারচূড়ান্ত রিপোর্ট জমা দেওয়ার নির্দেশ বিচারপতি জয় সেনগুপ্তের।