Date : 2024-04-29

ওরা শুধু বিক্রি করার জন্য রয়েছে? কর্মচারীদের বেতন ওরা দিতে পারবে না? প্রধান বিচারপতি।

ষষ্ঠী চট্টোপাধ্যায়,সাংবাদিক : ট্রাম কতৃপক্ষ খালি ট্রাম বিক্রি করতে বসে রয়েছে? কর্মচারীদের বেতন দেওয়া বা কি করে পুনরায় পরিষেবা দেওয়া যায় সে ব্যাপারে কোনো চিন্তাভাবনাই নেই তাদের? ক্ষুব্ধ প্রধান বিচারপতি।

কলকাতা পুলিশ বিরোধিতা করছে ট্রাম চালানোর।কারণ গতি ধীর। ট্রাফিক ব্যাবস্থা সমস্যা হচ্ছে।
হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চের মত, পুলিশ একা এর বিরোধিতা কর‍তে পারেনা।ট্রাম রাজ্যের ঐতিহ্য। তাকে রক্ষা করতে হবে অহেতুক তর্কবিতর্ক না করে।গঠন মুলক আলোচনা দরকার যাতে ট্রাম চালানো যায়।
কমিটি দেখবে যাতে ট্রাম পরিষেবা পুনরায় চালু করা যায়।কমিটি দেখবে কলকাতা পুলিশের অভিযোগ খতিয়ে।
সরকারের উচ্চপদস্থ আধিকারিকদের নিয়ে যে কমিটি হয়েছে সেখানে বেসরকারি কতৃপক্ষকে আমন্ত্রণ জানানো দরকার।পিপিপি মডেলে কিছু করার জন্য। না হলে পুরো উদ্যোগ নষ্ট হবে। কমিটি প্রথমে ভাববে কিভাবে ট্রামকে আধুনিক করা যায়।সিট থেকে শুরু করে সমস্ত কিছু অত্যাধুনিক করতে হবে যাতে সাধারণ যাত্রী নয়, যুবক যুবতীদের কে ও আকর্ষীত করা যাবে।আদালত আশা করছে রাজ্য আগামী দিন আদালতকে ফলপ্রসূ কিছু জানাবে।শীতকালীন অবকাশের পর রিপোর্ট দিতে হবে রাজ্যকে।নির্দেশ প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চের।

শুনানি –
অনিন্দ্য লাহিড়ী – দুটো মিটিং হয়েছে।
কিছু লাইনে ট্রাম চালানোর বিরোধিতা করেছে পুলিশ ও ট্রাম কতৃপক্ষ। কিন্তু পরে আবার রিপোর্ট দিয়ে জানানো হয়েছে ভালো করে বিশেষজ্ঞ দের দিয়ে খতিয়ে না দেখেই এটা করা হয়েছে। পুলিশ ট্রাম চালানোর বিরোধিতা করছে।অথচ পুলিশ এ ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেওয়ার অধিকারী নয় মোটেই।

প্রধান বিচারপতি – ট্রাম কোম্পানি কি করছে?
আইনজীবী – একটা মাত্র রুটে ট্রাম চালানোর কথা বলেছে।

প্রধান বিচারপতি – ওরা শুধু বিক্রি করার জন্য রয়েছে? কর্মচারীদের বেতন ওরা দিতে পারবে না? আনুমানিক কতগুলো ট্রাম প্রয়োজন হতে পারে চালানোর জন্য?

আইনজীবী – বহু ট্রাম প্রয়োজন।

প্রধান বিচারপতি – যারা ট্রাম অপারেট করতে পারবে এই ধরনের কোনো সংস্থার সঙ্গে কথা বলুন। তারা পুরো বিষয় দেখুক। তারা কি করতে পারে দেখা যাক।