Date : 2024-04-28

যাত্রীদের দুরাবস্থার কথা ভাবলে কষ্ট হচ্ছে”।NBSTC এমডিকে প্রশ্ন প্রধান বিচারপতির।

ষষ্ঠী চট্টোপাধ্যায়,সাংবাদিক : উত্তরবঙ্গ পরিবহন নিগমের এমডির সামনেই কলকাতা শিলিগুড়ি আমি বাসগুলির দুরাবস্থা নিয়ে খুবই প্রকাশ করলেন প্রধান বিচারপতি।
অস্থায়ী কর্মী নিয়োগে আদালতের নির্দেশ কার্যকর না করায় এমডিকে সশরীরে হাজিরার নির্দেশ দিয়েছিল প্রধান বিচারপতি টি এস শিবজ্ঞানম ও বিচারপতি বিভাস পট্টনায়কের ডিভিশন বেঞ্চ। নির্দেশমতো এদিন হাজিরা দিয়েছিলেন এম ডি। তার সামনেই প্রধান বিচারপতি বলেন, ‘আপনাদের নিগমের বাস গুলির পরিস্থিতি ভয়াবহ। কী ভাবে আপনারা ওই লড় ঝরে বাস চালাচ্ছেন? যাত্রীদের দুরাবস্থার কথা ভাবলে কষ্ট হচ্ছে। দেখা যায় দ্রুত গতিতে চলাচল করছে ওই রুগ্ন বাস গুলি। কোন বাসে যদি যাত্রী বোঝাই থাকে আর সেই অবস্থায় যদি চালক ব্রেক কসেন তাহলে কি পরিস্থিতি হবে বুঝতে পারছেন? জানিনা কিভাবে চালকরা ওই বাস গুলি চালাচ্ছেন।’ অন্য রাজ্যের বাসগুলির পরিস্থিতির কথা তুলে ধরে প্রধান বিচারপতি আরও বলেন, ‘অন্য রাজ্যে বাসের চেসিস ঠিক থাকলে দাঁড়া, নতুন করে বাঁশের বডি নির্মাণ করছে। গাছের সমস্যা এড়ানো যায়।’
যদিও মূল মামলাটি ছিল পুরোপুরি ভিন্ন। উত্তরবঙ্গ পরিবহন নিগমের সঙ্গে এক ঠিকাদারের চুক্তি হয়েছিল কিন্তু ওই ঠিকাদারের বৈধ লাইসেন্স না থাকায় ৩৫ জন চুক্তিভিত্তিক কর্মীকে বরখাস্ত করে উত্তরবঙ্গ পরিবহন নিগম। পরবর্তীতে নিগমের ওই নির্দেশ চ্যালেঞ্জ করে ইন্ডাস্ট্রিয়াল ট্রাইব্যুনালের দ্বারস্থ হন ওই চুক্তিভিত্তিক কর্মীরা। ট্রাইব্যুনাল নিগমের নির্দেশ খারিজ করে ওই ৩৫ জন চুক্তিভিত্তিক কর্মীকে নিয়োগের নির্দেশ দেয়। ওই নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টের সিঙ্গেল বেঞ্চ এবং পরে ডিভিশন বেঞ্চের দ্বারস্থ হয় নিগম। কিন্তু দুটি বেঞ্চই ট্রাইবুলারের নির্দেশ বহাল রাখে। শেষ পর্যন্ত সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয় নিগম। কিন্তু সুপ্রিম কোর্টে ও তাদের আবেদন খারিজ হয়ে যায়। এরপর হাইকোর্টে আদালত অবমাননার মামলা দায়ের করেন ওই চুক্তিভিত্তিক কর্মীরা। সেই মামলাতেই এমডিকে সশরীরে হাজিরা নির্দেশ দিয়েছিল প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ। আপাতত নির্দেশ কার্যকর করতে সাত দিনের সময় দিয়েছে আদালত।