Date : 2024-05-02

শেখ শাহজাহানের গ্রেফতারিতে কোন স্থগিতাদেশ নেই জানালেন প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ

ষষ্ঠী চট্টোপাধ্যায়, সাংবাদিক : সন্দেশখালি মামলায় জেলা পরিষদের কর্মাধ্যক্ষকে (শাহজাহান শেখকে) এই মামলায় যুক্ত করা হলো।হাইকোর্টের রেজিস্ট্রার জেনারেলকে একটা বাংলা ও একটা ইংরেজি কাগজে বিজ্ঞাপন দিয়ে এই বিষয়টি প্রচার করতে নির্দেশ সে মামলায় নিজের আইনজীবীদের উপস্থিত হতে বলে। কারন এখন পর্যন্ত সে পলাতক বলে আদালত জানতে পারছে।

শাহজাহান শেখকে গ্রেফতারের উপর কোনো স্থগিতাদেশ নেই এটা বার বার করে জানালেন প্রধান বিচারপতি।

আইনজীবী প্রিয়াঙ্কা টিব্রেওয়াল জানান, আমি ব্যাক্তিগত ভাবে কিছু মহিলার সাথে কথা বলেছি যারা নির্যাতনের স্বীকার। তারা বলছে পুলিশ তাদের নাকি বলেছে শাহজাহান আপনাদের “স্বামী”। এই আক্রান্ত মহিলারা কিভাবে পুলিশের কাছে যাবে নিজেদের নির্যাতনের কথা বলতে।

প্রধান বিচারপতি – এসব কি সত্যি?

রাজ্যের এডভোকেট জেনারেল (এজি)জানান – ১৮ ডিসেম্বর ২০২৩ পর্যন্ত ৪৩ টি এফয়াইয়ার দায়ের হয়েছিল। তার মধ্যে ৪২ টাতে চার্জশিট দেওয়া হয়েছে। এই সমস্ত এফয়াইয়ার গত চার বছর ধরে দায়ের হয়েছে।রাজ্য প্রশাসন বসে নেই সেটা বলার চেষ্টা করেন তিনি।

জমি দখলের অভিযোগে ৭ টি অভিযোগ দায়ের হয়েছিল। সব গুলোতে চার্জশিট দেওয়া হয়েছে।
২২ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত ১৫ জন গ্রেফতার হয়েছে।

প্রধান বিচারপতির প্রশ্ন, গত চার বছরে গ্রেফতার হয়নি? এখন সব গ্রেফতার হচ্ছে যখন মানুষ ক্ষোভে ফেটে পড়েছে?
এখন সরকার বলছে জমি ফেরত দেওয়া হবে!চার বছর লেগে গেলো কেনো এই সমস্ত মামলায় চার্জশিট দিতে তা আদালতের বোধগম্য নয়।

প্রধান বিচারপতি বলেন, প্রত্যেকের নিজস্ব আত্মপরিচয়, গোপনীয়তা আছে। নিজেদের সুরক্ষার ব্যাপার আছে।তারা জেলা লিগাল সার্ভিস কতৃপক্ষের কাছে গিয়ে অভিযোগ জানাবে, তাদের সাথে কথা বলবে।ডিএল এসএ ডিস্ট্রিক্ট লিগাল এড সার্ভিস অথিরিটি (জেলা লিগাল সার্ভিস কতৃপক্ষ)কে ক্যাম্প করতে বলছি

আদালত বান্ধব জয়ন্ত নারায়ণ চ্যাটার্জি জানান, টিভি চ্যানেলের রিপোর্ট থেকে জানতে পারছি একজন( সাংসদ বলছেন, প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ তদন্তে স্থগিতাদেশ দিয়ে রাখার জন্য তাকে গ্রেফতার করা যাচ্ছে না বলছে।

এজি বলেন বিচারপতি জয় সেনগুপ্ত ইডির আধিকারিকদের উপর হামলার ঘটনায় সিবিআই ও রাজ্য পুলিশের সিট গঠন করে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছিলেন। সেই তদন্তের উপর স্থগিতাদেশ দিয়ে রেখেছে প্রধান বিচারপতির বেঞ্চ।

প্রধান বিচারপতি জানান – কিন্তু আমরা শাহজাহানকে গ্রেফতারের উপর স্থগিতাদেশ দিয়ে রাখিনি।

প্রধান বিচারপতি – এসপি, ওসি, জেলা পরিষদের কর্মাধ্যক্ষ আমরা মামলায় যুক্ত করছি।হাইকোর্টের রেজিস্ট্রার জেনারেলকে একটা বাংলা ও একটা ইংরেজি কাগজে বিজ্ঞাপন দিয়ে এই বিষয়টি প্রচার করতে জানাবো।

প্রধান বিচারপতি – গত চার বছরে গ্রেফতার হয়নি? এখন সব গ্রেফতার হচ্ছে যখন মানুষ ক্ষোভে ফেটে পড়েছে?
এখন সরকার বলছে জমি ফেরত দেওয়া হবে!চার বছর লেগে গেলো কেনো এই সমস্ত মামলায় চার্জশিট দিতে তা আদালতের বোধগম্য নয়।

এজি- ১৪৪ ধারা জারি থাকা কালীন রাজ্যের শাসক দলের কোনো নেতা ২ নম্বর ব্লকে কেউ যায়নি।
১৪৪ ধারা জারি করা হয়েছিল সন্দেশখালি ২ নম্বর ব্লকের কিছু জায়গায়।

এডিশনাল সলিসিটর জেনারেল – প্রধান বিচারপতি নির্দেশ দিয়েছিলেন রাজ্য পুলিশের তদন্ত ও স্থগিত থাকবে।এই ব্যাপারে আদালত ব্যাখ্য করে বলে দিক।

প্রধান বিচারপতি জানান – আমরা কোথাও গ্রেফতারের উপর স্থগিতাদেশ দিয়ে রাখিনি।

রাজনৈতিক নেতাদের এলাকায় যাওয়ার ব্যাপারে প্রধান বিচারপতি বলেন, এতে মানুষের ভালো ও হতে পারে। খারাপ ও হতে পারে।সিঙ্গেল বেঞ্চ ও ডিভিশন বেঞ্চের নির্দেশের সুবিধা যেনো কেউ না নেয় উল্লেখ প্রধান বিচারপতির।

৪ মার্চ ফের শুনানি।

আদালত বান্ধবকে রিপোর্ট জমা দিতে বললেন এলাকার মানুষের উদবেগ নিয়ে।