Date : 2024-04-27

ঘাটালেই থাকছেন দেব। হবেন তৃণমূলের প্রার্থীও

সঞ্জু সুর, সাংবাদিক ঃ ঘাটাল লোকসভা কেন্দ্রের তৃণমূল কংগ্রেসের সাংসদ দীপক অধিকারী ওরফে দেবকে নিয়ে সমস্ত জল্পনার অবসান। আসন্ন লোকসভা নির্বাচনে ওই কেন্দ্র থেকে জোড়াফুল চিহ্নেই প্রার্থী হবেন দেব। আরামবাগে মুখ্যমন্ত্রীর প্রশাসনিক সভামঞ্চ থেকেই তা পরিষ্কার হলো।

গত প্রায় মাস খানেকেরও বেশি সময় ধরে ঘাটালের তৃণমূল কংগ্রেস সাংসদ দেব কে নিয়ে জল্পনার জাল বোনা হচ্ছিল। সেই জল্পনায় ইন্ধন দিচ্ছিলেন দেব স্বয়ং। কখনো সংবাদমাধ্যমের সামনে রাজনীতি ছাড়ার ইচ্ছা প্রকাশ করা, কখনো ঘাটাল লোকসভা কেন্দ্রের তিনটি সরকারি পদ থেকে ইস্তফা দেওয়া, কখনো নিজের ইনস্টা একাউন্টে ইঙ্গিত পূর্ণ ছবি পোস্ট করা, আবার কখনো লোকসভার অধিবেশন কক্ষে বক্তব্য রাখতে গিয়ে “এখানে এটাই আমার শেষ দিন” বলা। দেবের এইসব ইঙ্গিতে ক্রমশ পরিস্কার হচ্ছিল যে তিনি সম্ভবত আর রাজনীতি করবেন না। এমন অবস্থায় গত শনিবার দিন বিকালে প্রথমে তৃণমূল সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় ও পরে তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে বৈঠক করেন দেব অধিকারী।

তারপর সেদিনই তিনি বলেন, “আমি রাজনীতি ছাড়তে চাইলেও রাজনীতি আমাকে ছাড়ছে না।” তখনই মনে করা গিয়েছিল যে তৃণমূলেই থাকছেন দেব। আর সোমবার হুগলি জেলার আরামবাগে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে সভামঞ্চে এসে নিজের বক্তব্যে দেব পরিষ্কার করে দিলেন ঘাটাল থেকেই আবার তিনি জোড়া ফুলের প্রার্থী হচ্ছেন। কালীপুর ফুটবল মাঠের মঞ্চে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উপস্থিতিতেই দেব বলেন, “আমি দিদির হাত ধরে রাজনীতিতে এসেছি। আমি রাজনীতিতে থেকে গেলাম দিদির হাত ধরেই। আমি ঘাটালের মানুষের জন্য আবার ফিরলাম।” এই বক্তব্যেই পরিষ্কার আসন্ন লোকসভা নির্বাচনে ঘাটাল থেকেই তৃণমূল কংগ্রেসের প্রার্থী হচ্ছেন দেব ওরফে দীপক অধিকারী। এদিন ঘাটাল মাস্টার প্ল্যান নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে আবেদন করেন দেব। তিনি বলেন, “আমার দৃঢ় বিশ্বাস এই ঘাটাল মাস্টারপ্ল্যান; দিদি আপনার হাত দিয়েই হবে।” দেবের এই আবেদন সঙ্গে সঙ্গেই মঞ্জুর করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

নিজে বক্তব্য রাখতে উঠে মুখ্যমন্ত্রী জানান, “ঘাটাল মাস্টার প্ল্যান নিয়ে দেব আমাকে বলেছে। দেব যখন আমার কাছে চেয়েছে, তখন দিদি ভাইকে ফেরাবে এমনটা তো হতে পারে না।” ঘাটাল মাস্টার প্ল্যান নিয়ে নিজের পরিকল্পনার কথাও তৎক্ষণাৎ জানিয়ে দেন মুখ্যমন্ত্রী। মঞ্চ থেকেই তিনি বলেন, “আমি মুখ্য সচিব ও সেচ দপ্তরের সচিবের সঙ্গে ইতিমধ্যেই এই বিষয় নিয়ে কথা বলেছি। এই মাস্টার প্ল্যান করতে গেলে ১ হাজার ২৫০ কোটি টাকা লাগবে। আমরা আমাদের টাকা দিয়েই এটা করব। তবে একবারে হবে না, আমরা স্টেপ বাই স্টেপ করব। এতে ১৭ লক্ষ মানুষ উপকৃত হবেন।”