সুজয় দাসঃ ভ্যাদা, ভেড়া, মেনি, মিনি, ন্যাদোশ, রয়না নাম যাই হোক এই মাছের গুণের শেষ নেই। আগে বাংলাদেশের দক্ষিণে নদী, খাল, বিল, হাওড়, বাওড়ে এই মাছ সহজেই পাওয়া যেত। পরবর্তী কালে দক্ষিণ বঙ্গের পুকুর, ডোবা, এমন কি পাট ও ধানের খেতে এই মাছ সহজেই মিলত। এইমাছ সহজেই ধরা দেয়। লেপ্টে থাকে কদায়। অলস মাছ। আগে বর্ষার ধান খেতেও এমনি করে শুয়ে থাকত। এখন কীটনাশকের প্রভাবে ভ্যাদা মাছ বিলুপ্তির পথে। কিন্তু আপনি কী জানেন প্রচণ্ড গরমে এই মাছের ঝোল বা টক কতটা উপকারী ? এই মাছের বৈজ্ঞানিক নাম ন্যান্দাস ন্যান্দাস। দেখতে অনেকটা কৈ মাছের মত হলেও কৈ মাছের সঙ্গে এই মাছের অনেক পার্থক্য রয়েছে। গায়ের রঙ কালচে হলুদ।
পিঠে ১০-১৫ টি শক্ত কাঁটা একটা পাতলা পর্দা দিয়ে যুক্ত। ভারত,বাংলাদেশ,পাকিস্তান, থাইল্যাণ্ড ও মায়ানমারে এই মাছ পাওয়া যায়। খাদ্যগুণেও এই মাছের জুড়ি মেলা ভার। প্রতি ১০০ গ্রাম ভ্যাদা মাছে ১১ মিলি গ্রাম প্রোটিন, ৫.৩ মিলি গ্রাম ফ্যাট, ০.৮ মিলি গ্রাম লোহা, ৩৯০ মিলি গ্রাম ক্যালসিয়াম ও ২৯৮ মিলি গ্রাম ফসফরাস আছে। এই ফসফরাস ও মাছের ৭৬ ভাগ জলের কারণেই প্রচণ্ড গরমেও এই মাছ শরীর কে ঠাণ্ডা রাখতে সহযোগীতা করে। শুধু তাই নয় এই মাছ মশার লার্ভা খেয়ে ও পোকামাকড় খেয়ে পরিবেশের ভারসাম্য বজায় রাখে। তাই গরমের হাত থেকে কিছুটা স্বস্তি পেতে আপনার কিচেনে অন্যতম উপকারী রেসিপি হয়ে উঠতে পারে ভ্যাদা বা রয়না মাছের রসনা।