সঞ্জু সুর, সাংবাদিক ঃ উত্তরবঙ্গে ২০১৯ এর লোকসভার ফল পালটে দিতে মরিয়া তৃণমূল কংগ্রেস। একের পর এক জনসভা ও রোড শো দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ও দলের সেকেন্ড ইন কমান্ড অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের। শুধু প্রথম দফার তিন আসনের জন্য মোট দশটি সভা করলেন দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। একর পর এক সভা করেছেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় ও।
রাজ্যে প্রথম দফায় উত্তরবঙ্গের তিনটি আসনে নির্বাচন আগামি ১৯ তারিখ। ২০১৯ এর নির্বাচনে এই তিনটি আসনেই জয়লাভ করে বিজেপি। কোচবিহার, আলিপুরদুয়ার ও জলপাইগুড়ি কেন্দ্র এবার বিজেপির হাত থেকে ছিনিয়ে নেওয়ার জন্য মরিয়া তৃণমূল কংগ্রেস। ২০২১ এর বিধানসভা নির্বাচনের ফলের কথা মাথায় রেখে এবং পরিবর্তিত পরিস্থিতির কথা বিবেচনা করে তৃণমূল কংগ্রেস মনে করছে এবার ফল পালটে দেওয়া সম্ভব। সেই কারণেই দলের দুই শীর্ষ নেতৃত্ব এক প্রকার মাটি কামড়ে প্রচার করলেন এই তিন আসনের তৃণমূল প্রার্থীদের সমর্থনে।
এপ্রিল মাসের ৪ তারিখ থেকে শুরু করে এপ্রিল মাসের ১৬ তারিখ পর্যন্ত ১৩ দিনে শুধু দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এই তিন কেন্দ্রে সভা করেছেন দশটি। কোচবিহার কেন্দ্রে বিজেপির নিশীথ প্রামানিক এর বিরুদ্ধে তৃণমূল প্রার্থী করেছে সিতাই এর বিধায়ক জগদীশচন্দ্র বসুনিয়া কে। কোচবিহারের দলীয় প্রার্থীর সমর্থনে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সভা করেছেন মোট তিনটি। ৪ঠা এপ্রিল মাথাভাঙ্গা, ১২ এপ্রিল দিনহাটা ও ১৫ তারিখ কোচবিহারের রাসমেলা ময়দানে সভা করেন তিনি। পাশাপাশি আলিপুরদুয়ার কেন্দ্রের তৃণমূল প্রার্থী রাজ্য সভার সাংসদ প্রকাশ চিক বরাইক এর সমর্থনে তৃণমূল সুপ্রিমো প্রথম সভা করেন গত ৫ তারিখ তুফানগঞ্জে।
এরপর ১২ তারিখ নিমতি দোমোহনী ও ১৫ তারিখ বীরপাড়ার ডিমডিমা চা বাগান এলাকায় সভা করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কোচবিহার ও আলিপুরদুয়ার এর জন্য তিনটি করে সভা করলেও জলপাইগুড়ির তৃণমূল প্রার্থী বিধায়ক নির্মল চন্দ্র রায় এর সমর্থনে চার চারটে সভা করেছেন মুখ্যমন্ত্রী।
এপ্রিল মাসের ৪ তারিখ মাল বাজার, ৫ তারিখ জলপাইগুড়ি, ১৩ তারিখ ডাবগ্রাম-ফুলবাড়ি ও ১৬ তারিখ ময়নাগুড়িতে সভা করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মুখ্যমন্ত্রী ছাড়াও অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় ও এই তিনটি আসনে একের পর এক সভা করেছেন। করেছেন অভ্যন্তরীণ দলীয় বৈঠক। রোড শো করেছেন মুখ্যমন্ত্রী ও অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। সভা করেছেন রাজ্যের মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম। রোড শো করেছেন দেব।
তবে শুধু উত্তরবঙ্গের এই তিন আসনই নয়, উত্তরবঙ্গের বাকি আসনগুলোর দিকেও সমান নজর রয়েছে তৃণমূল কংগ্রেসের। রাজ্যের শাসক দলের প্রচারের এই উদ্যোগ দেখে এটা মনে করা যেতেই পারে তৃণমূল শীর্ষ নেতৃত্ব এবারের নির্বাচনে উত্তরবঙ্গে নজরকাড়া ফল করার ব্যাপারে যথেষ্ট আশাবাদী।