আলিপুরদুয়ার: সপ্তদশ লোকসভা নির্বাচনের প্রথম দফা শুরু হতে আর মাত্র ৬ দিন বাকি। নির্বাচনী প্রচারে উতপ্ত কোচবিহার ও আলিপুরদুয়ার। দুই জেলা জুড়েই চলছে শেষ মুহুর্তের প্রস্তুতি পর্ব। শনিবার আলিপুরদুয়ার জেলার দুই প্রান্ত বারোবিশা ও কালচিনিতে দুটি সভা করেন মুখ্যমন্ত্রী। বারোবিশার সভা থেকেও বিজেপিকে তীব্র আক্রমণ করেন মুখ্যমন্ত্রী, এদিন মুখ্যমন্ত্রী বলেন, বাংলা থেকে বাঙালি তাড়ানোই ওদের লক্ষ্য। বাংলায় বিজেপি শূন্য পাবে। এদিন আত্মবিশ্বাসের সুরে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, আগামী দিনে দিল্লিতে তৃণমূল কংগ্রেস সরকার গড়তে সক্ষম হবে। বাংলায় বিয়াল্লিশে বিয়াল্লিশ পাবে তৃণমূল এই স্লোগানের বদলে মুখ্যমন্ত্রীর কন্ঠে এদিনের জনসভায় শোনা গেল নতুন স্লোগান, অবুঝ নয়, সবুজ চাই। প্রসঙ্গত, ৩ দিন আগে উত্তরবঙ্গের শিলিগুড়িতে সভা করে গেছেন প্রধানমন্ত্রী। ফের একবার উত্তরবঙ্গ সফরে আসার কথা প্রধানমন্ত্রীর। এদিন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, বিজেপিকে জেতালে দেশের স্বাধীনতা থাকবে না। গনতন্ত্র থাকবে না। সংখ্যালঘুদের অধিকার থাকবে না। সংবিধান বদলে ফেলতে চায় বিজেপি এই বলে তিনি কটাক্ষ করেন। উপজাতি অধ্যুষিত অঞ্চলে পঞ্চায়েত নির্বাচনের সময় থেকেই বেশ কিছুটা প্রভাব বিস্তার করেছে বিজেপি। তাই উত্তরবঙ্গের উপজাতি অধ্যুষিত অঞ্চলকে বিশেষ গুরুত্ব দিচ্ছে তৃণমূল। উল্লেখ্য, এবার উত্তরবঙ্গে চতুর্মুখী লড়াই হতে চলেছে। তবে লড়াই মূলত তৃণমূল ও বিজেপির মধ্যেই কেন্দ্রীভূত থাকবে বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল। এদিন আলিপুরদুয়ারের নির্বাচনী সভায় তৃণমূল সুপ্রিমো অফিসার বদল নিয়ে বিজেপিকে তীব্র আক্রমণ করে বলেন, সব অফিসার বদলে দিন তবুও আমায় বদলাতে পারবেন না। নির্বাচন কমিশনের নিরপেক্ষতা নিয়েও তিনি প্রশ্ন তুলেছেন। এদিন মুখ্যমন্ত্রী আদিবাসীদের সমস্যা, বনবসতির সমস্যা ওবং চা শ্রমিকদের সমস্যা নিয়ে সরব হন। এর আগে মাথাভাঙার নির্বাচনী সভা থেকে ব্রিগেডের পাল্টা উত্তর দিতে নরেন্দ্র মোদীকে আক্রমণ করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
Facebook
Instagram
Twitter
Rplus is most proud of how its work impacts the real world and how it is using its powerful reach to campaign for and with the people of Bengal.