ওয়েব ডেস্ক: মাত্র দেড় দিনের বৃষ্টিতে হাঁটু জলে বিপর্যস্ত কলকাতা। তবে সোমবার সকাল থেকেই পরিস্কার হতে শুরু করেছে কলকাতার আকাশ। কিন্তু দেশের অন্যান্য রাজ্যের পরিস্থিতি এখনও বেহাল। উত্তরাখণ্ডে, হিমাচলের বিস্তীর্ণ অঞ্চলে রবিবার মেঘভাঙা বৃষ্টিতে কাদামাটির স্রোতে ভেসে গেল তিনটি গ্রাম। আচমকাই এই বানে ১৭ জনের মৃত্যু হয়। জলের তোড়ে নেমে আসে বিপুল পরিমান কাদামাটি। উত্তরকাশী থেকে এখনো পর্যন্ত দেড়শো পর্যটককে উদ্ধার করা হয়েছে।
ধসের কারণে আটকে রয়েছে আরও ৪০০ পর্যটক। উত্তরাখণ্ডের পাশাপাশি হিমাচল প্রদেশ, পঞ্জাবও অতিভারী বর্ষণে বিপর্যস্ত। লাগাতার ভারী বৃষ্টির কারণে মানালি থেকে কুলু যাওয়ার তিন নম্বর জাতীয় সড়কেও যান চলাচল আংশিকভাবে বন্ধ।
লাইনে জল জমে যাওয়ায় ব্যাহত রেল পরিষেবাও। এদিকে, উত্তরাখণ্ডের উত্তর কাশীর মোরিতে আটকে পড়া পর্যটকদের উদ্ধারের জন্য দুটি চপার নামানো হয়েছে। এরই মধ্যে রাজধানী দিল্লি এবং হরিয়ানায় জারি হয়েছে বন্যা সতর্কতা।
হাতিনী কুণ্ড ব্যারেজ থেকে ৮.১৪ লক্ষ কিউসেক যমুনার জল ছাড়ার পরই বন্যার পরিস্থিতি তৈরি হওয়ার সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে। যমুনার জল ছাড়ায় এই বন্যা পরিস্থিতি আরও খারাপ হতে পারে বলেই মনে করা হচ্ছে। জল ও কাদার তোড়ে বাড়িগুলি ভেসে যাওয়ায় উদ্ধারকার্যে সমস্যার মধ্যে পড়তে হচ্ছে। এই রাজ্যে বিপদ সীমার উপর দিয়ে বইছে মেরি তহসিলের ট্রাঙ্ক নদী।
নতুন করে আজ আরও বৃষ্টির সম্ভাবনাও রয়েছে। ফলে পরিস্থিতি আরও জটিল হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। এদিকে কেরলে এখনও পর্য়ন্ত মৃতের সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ২২১ জন। তবে নতুন করে ওই রাজ্য দুর্যোগের সম্ভবনা নেই বলেই জানানো হয়েছে।