ওয়েব ডেস্ক:- পঙ্গুত্ব বা শারীরিক প্রতিবন্ধকতা মানুষের জীবনে সত্যিই মাঝে মাঝে অভিশাপ হয়ে নেমে আসে। শুধুমাত্র এই কারণেই ওড়িশার গঞ্জাম জেলার এক বৃদ্ধা এখন গৃহবন্দি। ঘরের চার দেওয়ালের বাইরে পা রাখার উপায় নেই। কারণটা হল জন্ম থেকেই তাঁর হাতে ও পায়ে আঙুলের সংখ্যা। না, সংখ্যাটা স্বাভাবিক নয়। গুনে দেখলে হাতের আঙুলের সংখ্যা ১২টি, পায়ের আঙুলের সংখ্যা ২০টি। সব মিলিয়ে ৩২ টি আঙুল নিয়ে ৬৮ বছর ধরে বেঁচে আছেন ওড়িশার গঞ্জাম জেলার একটি গ্রামের বাসিন্দা বৃদ্ধা নায়ক কুমারী।
প্রতিবেশীরা মনে করেন বৃদ্ধা নায়ক কুমারী ডাইনি। গ্রামের বাচ্চা-বুড়ো বিশ্বাস করেন তাঁর মুখ দেখলে বিপদে পড়তে পারেন যে কেউ। দিনের পর দিন তাঁর উপর হয়ে চলা সামাজিক বঞ্চনার কথা নায়ক কুমারী জানিয়েছেন সংবাদমাধ্যমকে। জন্ম থেকেই নায়ক কুমারীর হাতে ও পায়ে এই বাড়তি আঙুল। সেই সঙ্গে বাড়তি আঙুলে রয়েছে তীব্র বেদনা।
অর্থের অভাবে করতে সঠিক সময় চিকিৎসাও করাতে পারেননি। তিনি জানিয়েছেন, সাহায্য তো দূরের কথা হাত-পায়ে বাড়তি আঙুল দেখে এলাকার মানুষ তাঁকে ডাইনি মনে করেন। বিষয়টিকে অস্বাভাবিক বলে মানতে নারাজ এলাকার চিকিৎসক ডা পিনাকী মোহান্তি। তিনি বলেন, ডাক্তারি পরিভাষায় এই সমস্যাকে বলা হয় পলি ড্যাকটাইলি। এই ধরনের সমস্যা মানুষের ক্ষেত্রে বিরল ঘটনাই বলা যায়। প্রতি ৫,০০০ মানুষের মধ্যে ১-২ জনের এই সমস্যা দেখা দিতে পারে। ওড়িশার যে গ্রামে নায়ক কুমারী থাকেন অশিক্ষার অন্ধকারে আচ্ছন্ন সেই গ্রাম। তাই খুব সহজেই মানুষের মনে দানা বাঁধতে শুরু করে কুসংস্কারের জাল।