ওয়েব ডেস্ক:- দূষণের তালিকায় দু মাসের মধ্যে বিশ্বে শীর্ষস্থান দখল করেছে দিল্লি। নভেম্বরের শুরুতে গ্যাস চেম্বারে পরিনত হয়েছিল দিল্লি। সেই প্রসঙ্গ উঠে এলো নির্ভয়া গণধর্ষণ মামলায় দোষী সাব্যস্ত ব্যক্তির মুখে। একদিকে তিহার জেলে চলছে নির্ভয়া কাণ্ডে ৪ দোষীকে ফাঁসি দেওয়ার প্রস্তুতি অন্যদিকে মৃত্যুদণ্ডের সাজা প্রাপ্ত এক দোষী মৃত্যুদণ্ডের রায় পুনর্বিবেচনার আর্জি জানিয়ে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছে। রায় পুনর্বিবেচনার আর্জি জানানোর যুক্তিও বড় অদ্ভুত! অক্ষয় সিংঠাকুর নামে ফাঁসির সাজা প্রাপ্ত ওই আসামীর দাবি, বায়ু দূষণের কারণে এমনিই দিল্লির মানুষের আয়ু কমে গেছে। তবে মৃত্যুদণ্ডের সাজা দিয়ে আর কি হবে?
তাই মৃত্যুদণ্ডের সাজা সুপ্রিম কোর্টে পুনর্বিবেচনার আর্জি জানিয়েছে সে। সূত্রের খবর, ইতিমধ্যেই তিহার জেলে ফাঁসির দড়ি তৈরি হয়েছে, এমনকি ডামি মহড়াও হয়ে গিয়েছে। এখন মৃত্যুদণ্ডের রায় পুনর্বিবেচনার করার জন্য আবেদন করলেও সেই আবেদন কতটা গৃহীত হবে সেই নিয়ে উঠছে প্রশ্ন।
সূত্রের খবর, বক্সার জেল থেকে ইতিমধ্যে এসে গিয়েছে ১০টি ফাঁসির দড়ি। তিহার জেলে ফাঁসুড়ে না থাকায় অন্য জেল থেকে নিয়ে আসা হবে ফাঁসুড়ে। ফাঁসির দড়ি খুব বেশিদিন সংরক্ষণ করে রাখা যায় না, ফলে নির্ভয়া কাণ্ডে যে খুব তাড়াতাড়ি সাজা কার্যকর হতে চলেছে তা স্পষ্ট হয়ে গিয়েছে দেশবাসীর কাছে।
২০১২ সালের ১৬ ডিসেম্বর রাতে ঘটে যাওয়া দিল্লি গণধর্ষণকাণ্ডের সারা দেশ জুড়ে দোষীদের ফাঁসি দেওয়ার দাবি উঠেছিল। অক্ষয়ের আইনজীবী এ পি সিং সুপ্রিম কোর্টে দায়ের করা রিভিউ পিটিশনে দাবি করেছেন, ২০১২-র ১৬ ডিসেম্বর রাতে দিল্লিতে ছিলই না তাঁর মক্কেল। তাই তাকে দোষী সাব্যস্ত করা ঠিক হয়নি। এর সপক্ষে তথ্যপ্রমাণ আদালতে জমা দিতে তিনি তৈরি। বিশ্বের বহু দেশে মৃত্যুদণ্ড বাতিল হয়ে গিয়েছে, সেই যুক্তিও পেশ করেছেন আইনজীবী। এই যুক্তির কোনটিই সম্ভবত কার্যকর হবে না বলেই মনে করা হচ্ছে।