Date : 2024-04-28

গ্রহ-নক্ষত্রের খেলা, ১৭ সেপ্টেম্বর একইদিনে বিশ্বকর্মা পুজো ও মহালয়া

একে করোনার কাঁটা। অন্যদিকে আশ্বিন মাস মল মাস হওয়ায় এবার পিছিয়ে গিয়েছে দুর্গাপুজো। তবে মহালয়া হচ্ছে নির্দিষ্ট তিথিতেই। মহালয়া ও বিশ্বকর্মা পুজো এবার একই দিনে পড়েছে। দুটি শুভ অনুষ্ঠান একই দিনে পড়ায় শুরু হয়েছে চর্চা। বাংলা মাস অনুযায়ী ৩১ ভাদ্র ও ইংরেজি ক্যালেন্ডার অনুযায়ী ১৭ সেপ্টেম্বর এবার ওই দুটি শুভ অনুষ্ঠান পালিত হবে।

চাঁদের পরিবর্তনের হিসাব অনুযায়ী হিন্দু ধর্মের পুজো-পার্বণ সহ নানা অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। চলতি বছরের আশ্বিন মাস মল মাস হওয়ায় এবার দুর্গাপুজো হবে কার্তিক মাসে। তবে মহালয়া হচ্ছে তার ঠিক একমাস আগে বা ভাদ্রের শেষ দিনে। বিশ্বকর্মা পুজোর দিনেই হবে মহালয়া। দুটি শুভ অনুষ্ঠান একই দিনে পড়ায় মানুষের মনে প্রশ্ন ওঠা স্বাভাবিক। পুরোহিতদের মতে, গ্রহনক্ষত্রের ফেরে কয়েক দশক পরে একই দিনে পড়েছে মহালয়া ও বিশ্বকর্মা পুজো। কৃষ্ণপক্ষের অমাবস্যা তিথিতে হয় মহালয়া। আর প্রতিবছর মহালয়ার ঠিক পরের দিন হয় প্রথমা। যে দিন থেকে উমার আগমনের দিন গুণতে থাকেন মর্ত্যবাসী। এবার সেই হিসাবেই গোলমাল। কেন? এক পূর্ণিমা থেকে অপর পূর্ণিমা, চন্দ্রমাস অনুযায়ী প্রতিমাসই ৩০ দিনের হয়। সৌর বছর ধরতে গেলে হিসাবে পরিবর্তন হয়। ৩৬৫ দিন ৫ ঘণ্টা ৪৮ মিনিট ৪৬ সেকেন্ডে হয় এক সৌরবছর। ফলে সৌরবছরে কয়েক ঘণ্টা সময় বেশি থাকে। তাই প্রতি তিন বছর পরে একটি চন্দ্র মাস বেশি হয়। তখন ওই মাসটিকে অতিরিক্ত ধরে নেওয়া হয়। এই অতিরিক্ত মাসটিতে বলা হয় অধিক মাস বা মল মাস বা পুরুষোত্তম মাস। মল শব্দের অর্থ অশুভ। শাস্ত্রমতে এই মাসে কোনও শুভ অনুষ্ঠান করা যায় না। এবারের ভাদ্র মাসে দুটি অমাবস্যা রয়েছে। একটি ২ ভাদ্র (কৌশিকী অমাবস্যা) ও অপরটি ৩১ ভাদ্র (বিশ্বকর্মা পুজোর দিন)। ফলে আশ্বিন মাস মল মাস হয়ে যাচ্ছে। পরিণামে মহালয়া ভাদ্র মাসে হলেও দেবীর বোধন হবে কার্তিকে। দেবীপক্ষ শুরু হবে সাতদিন আগে ১৭ অক্টোবর। শাস্ত্রমতে এবার কার্তিক মাসই শুদ্ধ আশ্বিন মাস।

শাস্ত্র মতে, কৃষ্ণপক্ষের অমাবস্যা তিথিতে হয় মহালয়া। আর বিশ্বকর্মা পুজো ভাদ্র সংক্রান্তির দিনে। দুটো শুভ অনুষ্ঠান একই দিনে হওয়ার আলাদা কোনও বিশেষত্ব নেই বলেই মত শাস্ত্র বিশেষজ্ঞদের।