Date : 2024-04-26

অকারণে হর্ন নয়, পরিবেশ দিবসে কলকাতা জুড়ে প্রচার নো-হর্কিং ম্যান কৈলাস মোহতার

শাহিনা ইয়াসমিন, সাংবাদিক:- বায়ু দূষণের থেকে কিছু কম নয় শব্দ দূষণ। অত্যাধিক আওয়াজে বহু মানুষ শারীরিক কষ্টের শিকার হন। পথেঘাটে অনেকেই বিনা প্রয়োজনে বিকট শব্দের হর্ন বাজান। এরই বিরুদ্ধে নিঃশব্দে লড়াই চালাচ্ছেন এই শহরেরই এক নাগরিক। বিশ্ব পরিবেশ দিবস উপলক্ষে রইল এক বিশেষ প্রতিবেদন।
কারণে-অকারণে বিভিন্ন ধরণের কান ফাটানো হর্নের আওয়াজ শুনে অভ্যস্ত কলকাতাবাসী। শব্দদূষণ রোধে করতে কলকাতা পুলিশের পক্ষ থেকে নো হর্নের লোগো বা ব্যানার রাস্তার বিভিন্ন জায়গায় লাগানো থাকলেও কারোর কিছু তেমন ভ্রুক্ষেপ নেই। আওয়াজবহুল-ব্যস্ত শহরে শব্দ না করে গাড়ি চালিয়ে যাচ্ছেন এক ব্যক্তি। নাম কৈলাস মোহতা। পেশায় ব্যবসায়ী।

৩২ বছর ধরে বিনা হর্নে দু-চাকা চালিয়ে যাচ্ছেন অনায়াসে। স্কুটির সামনে, উপরে, পাশে সব জায়গায় লেখা- অযথা হর্ন বাজাবেন না। শুধু স্কুটিতে নয়, তাঁর গায়েও সেই বার্তা লেখা থাকে। যতই রাস্তায় ট্রাফিক থাকুক হর্নে না তাঁর। তিনি যখন স্কুটি কেনেন তখনই শব্দ যন্ত্রের তার খুলে দেন। শব্দদূষণ আটকাতে হর্ন না বাজানোর শপথ নেন কৈলাসবাবু। বিদেশে কয়েকবছর কাটিয়েছেন কৈলাসবাবু। সেখানে মানুষ বিনা প্রয়োজনে হর্ন বাজান না। সেই বার্তা এবং শিক্ষাটা দেশবাসীর মধ্যে ছড়িয়ে দিতে চান তিনি। শুধু কৈলাসবাবু নন, কলকাতায় এমন অনেকেই আছেন যারা বিনা হর্নে গাড়ি চালান। হাসপাতাল, স্কুল, আদালত চত্বরে হর্ন বাজানোয় নিষেধাজ্ঞা থাকা সত্ত্বেও মানুষ হর্ন বাজান। এছাড়া রোজ দেখা যানজট হোক বা সিগন্যালে অকারণে হর্ন বাজাতে থাকেন অনেকে। এসবকিছুর বিরুদ্ধেই কৈলাসবাবু লড়াই করছেন আগামী প্রজন্মকে সুষ্ঠু পরিবেশ দিতে।