Date : 2024-04-26

এক নম্বর কি আকাশ থেকে পড়লো! যখন পড়লো তখন সবাই না পেলনা কেন? ২৬৯জন কি ভাবে পেলেন: ডিভিশন বেঞ্চ

ষষ্ঠী চট্টোপাধ্যায়, সাংবাদিক : এক্তিয়ার বহির্ভূত কাজ করেছেন সিঙ্গেল বেঞ্চ।এবং সমান্তরাল তদন্ত চলছে প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ মামলায়।একদিকে সিবিআই তদন্ত করছেঅন্য দিকে সিঙ্গেল বেঞ্চের বিচারপতি জেরা করছেন।ডিভিশন বেঞ্চে অভিযোগ করলেনপ্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের প্রাক্তন সভাপতি মানিক ভট্টাচার্যের আইনজীবী।
মানিক ভট্টাচার্যের পক্ষের আইনজীবী জয়দীপ কর আদালতে জানান গত ১৫ই জুন মামলায় আমি অন্তভুক্ত হই। ১৩ই জুন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় সিবিআই কে নির্দেশ দিয়েছিলেন অবিলম্বে মামলা রুজু করে তদন্ত শুরু করবে।পাশাপাশি প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের সভাপতি মানিক ভট্টাচার্য্য এবং সচিব রত্না চক্রবর্তী বাগচী বিকেল ৫,টার মধ্যে সিবিআইয়ের দফতর সিজিও কমপ্লেক্সে যাবেন।সেই মামলায় অন্তভুক্ত না করেই নির্দেশ দিয়েছেন সিঙ্গেল বেঞ্চ।

প্রথম মেধা তালিকায় নাম থাকা সকলের চাকরি হয়ে যাওয়ার পর নিয়োগের সময়সীমা শেষ হয়ে গেছে।এর পর প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ অতিরিক্ত মেধা তালিকায় প্রকাশ করে২৬৯ জনে চাকরি বাতিল করা হয়েছে। সমান্তরাল ভাবে তদন্ত চলছে সিবিআই এবং আদালতের।যার তীব্র বিরোধিতা করছি।

মানিক ভট্টাচার্য্য আদালতে আসছেন নিজেকে নির্দোষ প্রমাণ করার জন্য।সেই আদালত যেকোন নির্দেশ দিতে পারেন।কিন্তু আমি অসৎ ব্যক্তি, অর্থের বিনিময়ে চাকরি দিয়েছি এটা বিচারপতি বলতে পারেন না ।বিচার ব্যবস্থার ওপর মানুষের আস্থা থাকবে।উচ্চ আদালত তদন্তের আগেই আমায় অভিযুক্ত বানিয়ে দিচ্ছেন এটা কাম্য নয়। আমার(মানিক ভট্টাচার্য্য) কি বক্তব্য আদালত অবশ্যই জানার অধিকার আছে। নিয়োগের যাবতীয় তথ্য নথি ফরেনসিক ল্যাবরেটরি তে পাঠাতে বলছেন।কমিটি তে কে কে সই করেছেন।
আমি একজন রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব।আদালতের এই ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য আমার জীবন জীবিকার মধ্যে কু প্রভাব ফেলছে আদালতের এই ধরণের মন্তব্য।

গত একমাস ধরে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের অফিস বন্ধ হয়ে পড়ে আছে।কোন কর্মচারী সেখানে ঢুকতে বেরোতে পারছে না।

আগামী বৃহস্পতিবার মামলার পরবর্তী শুনানি বিচারপতি সুব্রত তালুকদারের ডিভিশন বেঞ্চে।