Date : 2024-04-29

রাজ্যের ত্রিস্তরিয়া পঞ্চায়েত নির্বাচন হোক কেন্দ্রীয় বাহিনী দিয়ে, কলকাতা হাইকোর্টে মামলা বিরোধী দলনেতার।

ষষ্ঠী চট্টোপাধ্যায়, সাংবাদিক : বছর ঘুরলেইলেই রাজ্যের ত্রিস্তরীয় পঞ্চায়েত নির্বাচন। তার আগে ডিসেম্বরে দ্বিতীয় সপ্তাতেই অঘোষিত পঞ্চায়েত নির্বাচনের দামামা বাজিয়ে দিলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা তথা নন্দীগ্রামের বিধায়ক শুভেন্দু অধিকারী। নতুন বছরে গোরাতে অথবা ফেব্রুয়ারি মাসে রাজ্যের পঞ্চায়েত নির্বাচন হবার সম্ভাবনা রয়েছে যদিও রাজ্য নির্বাচন কমিশন এখনো পর্যন্ত পঞ্চায়েত নির্বাচনের নির্ঘণ্ট প্রকাশ করেনি।

২০২১ সালের বিধানসভা নির্বাচনে কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন করা হয়েছিল যেখানে ভারতীয় জনতা পার্টি প্রায় ৭০ টির বেশি আসন পেয়েছিল। কিন্তু বিধানসভা নির্বাচনে পরবর্তী যে উপনির্বাচন গুলো হয়েছে সেখানে তারা বিন্দুমাত্র দাগ কাটতে পারেনি সেখানে বরং বামেদের ভোট সংখ্যা যে অনেকটাই বেড়ে গিয়েছে। সে কথা বলার অপেক্ষায় রাখেনা।

উপনির্বাচনগুলোতে দেখা গিয়েছিল অধিকাংশ ক্ষেত্রেই রাজ্য পুলিশকে দিয়েই নির্বাচন করা হয়েছিল, যেখানে বিরোধী দলগুলো গো হারান হেরে গিয়েছে। তাই পঞ্চায়েত নির্বাচন হওয়া এবং শান্তিপূর্ণভাবে করতে রাজ্য পুলিশের উপর আস্থা রাখতে পারছেন না রাজ্যের বিরোধী দল বিজেপি। সপ্তাহের প্রথম সোমবার কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি প্রকাশ শ্রীবাস্তব ও বিচারপতি রাজশ্রী ভরদ্বাজের ডিভিশন বেঞ্চে জনস্বার্থ মামলা দায়ের করলেন বিরোধী দলনেতা তথা নন্দীগ্রামের বিধায়ক শুভেন্দু অধিকারী।

প্রসঙ্গত, বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর ডিসেম্বর ধামাকার তিনটি তারিখের প্রথম দিন আজ। ১২, ১৪ এবং ২১ ডিসেম্বর ধামাকার নির্ঘণ্ট ঘোষণা করেছেন বিরোধী দলনেতা নিজেই। হুঁশিয়ারির পর কী বোমা ফাটাবেন বিরোধী দলনেতা? এ নিয়ে রাজনৈতিক মহলে তুঙ্গে জল্পনা। সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে শুভেন্দুকে বলতে শোনা গিয়েছে, “১২, ১৪, ২১ তিনটে দিন খুব গুরুত্বপূর্ণ। ওয়েট অ্যান্ড ওয়াচ।” উল্লেখ্য, এদিন মমতা-অভিষেকের খাসতালুকে আজ সভা রয়েছে শুভেন্দু অধিকারীর। এদিন হাজরার জনসভায় মঞ্চে দেখা যাবে সুকান্ত মজুমদার ও শুভেন্দু অধিকারীকে। হাজরার সভায় তাই বাড়তি নজর সকলেরই। হাইভোল্টেজ সোমবারে পদ্মশিবির দুই নেতার বক্তব্যের অপেক্ষায় দলীয় কর্মীরাও। বিজেপি সূত্রে এটাও জানা যাচ্ছে যে, এদিন হাজরা থেকেই সোজা দিল্লি যেতে পারেন শুভেন্দু। কারণ, মঙ্গলবার কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহর সঙ্গে বৈঠক রয়েছে বলে খবর।

২রা ডিসেম্বর ডায়মন্ড হারবারের সভায় ধোঁয়াশা রেখে শুভেন্দুকে বলতে শোনা গিয়েছিল, ‘২০০৯ সালে লোকসভায় বদল এসেছিল। ২০১১ সালে বিধানসভায় বদল এসেছিল। ২০১৪ ও ২০১৬ সাল পর্যন্ত এখানে ভোট হত। ২০১৬ সালের পর ভাইপো বাহিনী এখানে ভোট করতে দেয়নি। ২০১৮ সালে পঞ্চায়েত নির্বাচনে কেউ এখান মনোনয়ন জমা দিতে পেরেছেন? এবার খেলাটা দেখাব? গ্রামে প্রার্থী ঠিক করতে পারবেন তো? নমিনেশেন পাইয়ে দেওয়া দায়িত্ব আমার। বিজেপি প্রার্থীদের মনোনয়নপত্র জমা নিশ্চিত করতেই কি রাজ্যের বিরোধী দলনেতা কলকাতা হাইকোর্টে কেন্দ্রীয় বাহিনীর দাবি করলেন প্রশ্ন কলকাতা হাইকোর্টে আইনজী মহলের একাংশের।