Date : 2024-05-02

বঙ্গোপসাগরে ৫০ টি দেশকে নেতৃত্ব দেবে ভারত

সঞ্জনা লাহিড়ী, সাংবাদিক – ভারতের প্রতি চিনাদের রক্তচক্ষুর ধার বর্তমান। বাড়ছে ভারত- প্রশান্ত মহাসাগর সীমানায় চিনের হুমকি। এইরূপ অবস্থায় ৫০ টি দেশের নৌ-বাহিনীকে নেতৃত্ব দেবে ভারতীয় নৌ-বাহিনী। ভারতীয় নৌ-বাহিনীর ২ শক্তিশালী এয়ারক্রাফ্ট কেরিয়ার আইএনএস বিক্রমাদিত্য এবং আইএনএস বিক্রান্ত এদিন দাপিয়ে বেড়াবে বঙ্গোপসাগরের জলে। মোট ৫০ টি দেশের নৌ- বাহিনী নিয়ে নৌ- মহড়া দিতে চলেছে ভারতীয় নৌ- সেনা। এই বছর এই মহড়ার নাম, ‘মিলন ২০২৪’। এই মহড়ার মাধ্যমে যুদ্ধ- বিগ্রহ পরিস্থিতির আবহ তৈরি হবে ভারত মহাসাগর বক্ষ। ভারত- প্রশান্ত মহাসাগরের সীমানাকে চিনাদের প্রভাব থেকে মুক্ত রাখাই হবে এবারের মহড়া থেকে বার্তা। আগামী ১৯ থেকে ২৭ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত চলবে এই মহড়া। বিমানবাহী শক্তিশালী রণতরী আইএনএস বিক্রমাদিত্য এবং আইএনএস বিক্রান্ত ছাড়াও, আরও প্রায় ২০ টি যুদ্ধজাহাজ এবং পি-৮ আই-এর মতো বেশ কয়েকটি সমুদ্রে টহলদারির বিমান ও সাবমেরিনগুলি এই মহড়ায় অংশ নেবে বলে জানা গেছে।

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, জাপান এবং অস্ট্রেলিয়া যেমন মহড়ায় অংশ নেবে। তেমনই অংশ নেবে দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার বেশ কয়েকটি দেশের নৌ-বাহিনী। ফ্রান্স, বাংলাদেশ, দক্ষিণ কোরিয়া, ভিয়েতনাম, ইন্দোনেশিয়া ও মালয়েশিয়ার নৌবাহিনীও এই মহড়ায় অংশ নিতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। সমুদ্র যুদ্ধের নানান কৌশল, বিমান প্রতিরক্ষা ব্যবস্থার কার্যকারিতা, সাবমেরিনরোধী যুদ্ধ এবং সমুদ্র থেকে ভূপৃষ্ঠে অভিযান চালানোর মহড়া এদিন দেবে নৌ- বাহিনীগুলি। এই মহড়ায় ‘হারবার ফেজ’ নামে একটি আন্তর্জাতিক মানের সেমিনার, কুচকাওয়াজ, মেরিটাইম টেক এক্সিবিশন, এক্সপার্ট এক্সচেঞ্জ ও ইয়ং অফিসারদের জন্য বিভিন্ন ক্রীড়া প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হবে। এই মহড়ার মূল লক্ষ্য, এই অঞ্চলের মিত্র দেশগুলির নৌ- বাহিনীগুলির মধ্যে সমন্বয় সাধন করা। শুধু মিত্রতার সম্পর্ক নয়, অবাধ বাণিজ্য নিশ্চিত করাও লক্ষ্য এদিনের মহড়ার। বিগত কয়েক বছর ধরে, ভারত- প্রশান্ত মহাসাগরের সীমানায় শক্তি প্রদর্শন করছে বেজিং। চিন, পূর্ব ও দক্ষিণ চিন সাগরে সরাসরি জাপান ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে সংঘর্ষে জড়িয়েছে। ফিলিপিন্স এবং তাইওয়ানের সঙ্গেও চিনের কূটনৈতিক সন্পর্কের উত্তেজনা ক্রমশ বাড়ছে। ভারত, চিনের সঙ্গে প্রত্যক্ষভাবে সংঘর্ষে না জড়ালেও, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দেশগুলির সঙ্গে সম্পৃক্ততার সম্পর্ক স্থাপন করছে। ১৯৯৫ সালে ইন্দোনেশিয়া, সিঙ্গাপুর, শ্রীলঙ্কা এবং থাইল্যান্ড মিলে শুরু করেছিল সামুদ্রিক নৌ- মহড়া। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে এই মহড়ায় যোগদান বাড়িয়েছে বিভিন্ন দেশ। ২০২২ সালে ইউক্রেন-রাশিয়ার মধ্যে যুদ্ধের পরিস্থিতি সৃষ্টি হওয়ার মধ্যেও ‘মিলন’ অনুশীলন অনুষ্ঠিত হয়।