Date : 2024-04-26

শীতকাল আর সার্কাস হিট জুটি। যা কালের নিয়মে শেষ হয়ে যাচ্ছে।

শাহিনা ইয়াসমিন, সাংবাদিক:- শীতকাল আর সার্কাস ওতপ্রোত ভাবে জড়িত। একসময় এই জুটি ছিল হিট। ছোটবেলায় শীতকাল এলেই সার্কাস এর জন্যে অধীর আগ্রহে অপেক্ষা। সেই সব দিন ইতিহাস। বিনোদনের তালিকায় নিত্যনতুন অনেক কিছু যোগ হওয়ায় সেই তালিকায় ব্রাত্য সার্কাস। জন্তু – জানোয়ার নিয়ে খেলা দেখানো আগেই বন্ধ করে দেওয়া হয়। তখনি নিজের জৌলুস হারিয়েছে সার্কাস। ক্রমেই হারিয়ে যাচ্ছে ট্রাপিজ, জাগলিং, জোকার, মোটর সাইকেল খেলা দেখানো শিল্পীরা। এই সব শিল্পীদের খেলা দেখানোর জন্যে ভিড় হতো আট থেকে আশির , হাততালি ঝড় উঠতো। এখন আর মজা নেই সার্কাসে। আগামী বছরে অজন্তা সার্কাস বসে ছিল সিঁথির মোড়ে। তবে এবছর অর্থাৎ নতুন বছরে অজন্তা সার্কাস বসেছে দক্ষিন কলকাতার পাটুলিতে।

সার্কাস এর জীবন টা জোকারদের জামার মতো রঙিন দেখতে লাগলেও বাস্তবে তা একেবারেই নয়। সার্কাসের সঙ্গে জড়িয়ে বহু মানুষের পেট। পেটের খাতিরে এবং সার্কাস কে ভালোবাসার জনে আজও সার্কাসে রয়ে গেছেন পুরোনো বহু মানুষ। বলা যেতেই পারে সার্কাসের সদস্যরা। বয়সজনিত কারণে অনেকে ছেড়ে যান নি। তাদের কথায় সার্কাসে শুরু আর সার্কাসেই শেষ। সার্কাসে যারা খেলা দেখাচ্ছেন সেই সব খেলোয়াড়দের বক্তব্য তারা কাজ করছে তবে তারা নিজেদের সন্তানদের এই লাইনে নিয়ে আসবেন না।

কারন সার্কাসে আর উপার্জনের সেই জায়গা ধীরে ধীরে বন্ধ হতে যাচ্ছে। জেল্লাতো আগেই হারিয়েছে। বাহ্যিক দিকে সার্কাসকে ঝা চকচকে দেখতে লাগলে। ভিতরে লোক শূন্য। ফাঁকা চেয়ার। হাতে গোনা কয়েকজন বসে আছেন। সার্কাস মালিকদের বক্তব্য সার্কাসে মানুষের ভিড় টানতে যত চেষ্টা করছেন। কিন্তু ফাঁকা চেয়ার ভরানো টা চাপের তাদের কাছেও। পুরোনো দিন ফিরে পেতে মরিয়া সার্কাস মালিকরা। নামীদামী সার্ভিসগুলো বন্ধ হয়ে গেলেও টিম টিম করে জ্বলছে অজন্তা সার্কাস। টিকে থাকার লড়াই করছে তারা।