Date : 2024-04-29

৫ বছর ধরে হাই কোর্টের বিভিন্ন এজলাস ঘুরে অবশেষে চাকরি পেলেন ১৫জন শিক্ষক।

ষষ্ঠী চট্টোপাধ্যায়, সাংবাদিক : হাইকোর্টের নির্দেশ মেনে রেখা রায় ,শবনম আরা, রূপালী বেজ সহ ১৫ জনের হাতে নিয়োগপত্র তুলে দিল মধ্যশিক্ষা পর্ষদ।

২০১৬ সালের নিয়োগ পরীক্ষায় কৃতকার্য হয়েও স্কুল সার্ভিস কমিশনের ইচ্ছাকৃত ভুলের জন্য চাকরি পাওয়া থেকে বঞ্চিত হয়েছিলেন ১৫ জন শিক্ষক। বিচারপতি অনিরুদ্ধ রায়ের নির্দেশে স্কুল সার্ভিস কমিশন তাদেরকে নিয়োগের জন্য যোগ্য বলে বিবেচিত করে। এবং সুপারিশপত্র ইস্যু করে। মধ্যশিক্ষা পর্ষদের পক্ষ থেকে ১৫ জনকে নিয়োগপত্র তুলে দেন এবং ১৫ দিনের মধ্যে স্কুলে যোগদানেরও নির্দেশ দেন।

২০১৬ সালের নবম দশম শ্রেণীর এসএলএসটি নিয়োগে ব্যাপক হারে দুর্নীতি হয়েছে বলে কলকাতা হাইকোর্টে মামলা দায়ের হয়েছিল। বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় নির্দেশে তদন্ত করছে সিবিআই। শুধু তাই নয় যে ওএমআর শিট কারচুপি করা হয়েছিল সেটাও প্রকাশ করা নির্দেশ দিয়েছিলেন বিচারপতি। আর সেই ওএমআর শিট প্রকাশ পেতেই বহু অজানা তথ্য বেরিয়ে এলো। যার সাথে বেরিয়ে এলো স্কুল সার্ভিস কমিশনের চতুরতাও।

২০১৬ সালের নবম দশম শ্রেণীর এসএলএসটির ইতিহাস বিষয়ে একটি প্রশ্নের সঠিক উত্তর দিয়েও স্কুল সার্ভিস কমিশন চাকরিপ্রার্থীদের অতিরিক্ত এক নম্বর দেয়নি বলে অভিযোগ। ২২শে ডিসেম্বর ২০২২ সালে স্কুল সার্ভিস কমিশন হাইকোর্টের নির্দেশে ও এম আর সিট প্রকাশ করে। আবেদনকারীরা তারা দেখতে পান যে তারা যে প্রশ্নের সঠিক উত্তর দিয়েছিল তাতে স্কুল সার্ভিস কমিশন এক নম্বর তাদেরকে দেয়নি বলে অভিযোগ।

মামলার শুনানি পর্বে চলাকালীন আবেদনকারী রেখা রায় ,শবনম আরা, রূপালী বেজ পক্ষে আইনজীবী আশীষ কুমার চৌধুরী আদালতে জানিয়ে ছিলেন স্কুল সার্ভিস কমিশনের প্রশ্ন ছিল
“গান্ধী আরউইন চুক্তি কখন সম্পাদিত হয়?”এ,বি,সি,ডি চারটি উত্তর দেওয়া ছিল। মামলাকারীরা উত্তর দিয়েছিলেন গান্ধী আরউইন চুক্তি সম্পাদিত হয় মার্চ ১৯৩১ সালে। কিন্তু স্কুল সার্ভিস কমিশন জানায় মামলাকারীরা ভুল উত্তর দিয়েছে। এসএসসি জানায় সঠিক উত্তর হল মে ১৯৩১সালে। স্কুল সার্ভিস কমিশন তারা কখনই মানতে চাননি যে মামলাকারীরা সঠিক উত্তর দিয়েছেন। মামলা কারীরা সঠিক উত্তর দিয়েও তারা এক নম্বর পাওয়া থেকে বঞ্চিত হয়েছেন।

বিচারপতি অনিরুদ্ধ রায় স্কুল সার্ভিস কমিশনকে নির্দেশ দিয়েছিলেন মামলাকারীরা অতিরিক্ত এক নম্বর পাওয়ার যোগ্য। এবং এক নম্বর বাড়িয়ে তারা নিয়োগ পত্র তুলে দেবে এসএসসি।