Date : 2024-05-09

সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ কমিশন ! শনিবার সকাল এগারোটা পর্যন্ত কোনো সিদ্ধান্ত হয় নি।

সঞ্জু সুর, সাংবাদিক ঃ “স্যর আজকেই কি ই-ফাইলিং হবে ?

এখনও বলতে পারছি না।”

শনিবার সকাল এগারোটার আশেপাশে রাজ্য নির্বাচন কমিশনের দফতরে যখন কমিশনার রাজীব সিনহা ঢুকছেন ঠিক তখনই এক সাংবাদিকের করা উপরোক্ত এই প্রশ্নের উত্তরে উপরোক্ত এই উত্তর দেন রাজ্য নির্বাচন কমিশনার রাজীব সিনহা। স্বভাবতই প্রশ্ন উঠছে তাহলে কি কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশ এর বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হ‌‌ওয়া নিয়ে এখনও দোলাচলে রাজ্য নির্বাচন কমিশন ?

বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চের রায় এর পর প্রাথমিক প্রতিক্রিয়ায় রাজ্য নির্বাচন কমিশনার রাজীব সিনহা জানিয়েছিলেন তাঁরা কোর্টের নির্দেশ মেনে (comply) চলবেন। তবে রাত পোহাতে পোহাতেই সেই সিদ্ধান্ত বদলে যাওয়ার খবর আসতে থাকে। শোনা যায়, সব জেলাতে কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েনের বিষয়ে হাইকোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হতে চলেছে রাজ্য সরকার। আর রাজ্যের সঙ্গে কমিশন‌ও সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হচ্ছে। শুক্রবার‌ই রাজীব সিনহার সঙ্গে দীর্ঘক্ষণ বৈঠক করেন রাজ্যের স্বরাষ্ট্র সচিব বি পি গোপালিকা (যার পরবর্তী মুখ্যসচিব হ‌ওয়ার সম্ভাবনা খুব বেশি) ও ডিজি মনোজ মালব্য। শোনা যাচ্ছিলো শুক্রবার রাতে বা শনিবার সকালের দিকে ই-ফাইলিং করে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হচ্ছে রাজ্য ও কমিশন। যাতে সোমবারেই শুনানি শুরু হয়। রাজ্য বা কমিশন সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হতে পারে এই অনুমানে আগেই সুপ্রিম কোর্টে ‘ক্যাভিয়েট’ দাখিল করে রেখেছে বিজেপি। এই পরিস্থিতিতে শনিবার বেলা এগারোটা নাগাদ কমিশনার রাজীব সিনহার এই উত্তর কিন্তু যথেষ্ট চমকে দেওয়ার মতো। কিন্তু কমিশনের একটা সূত্র জানাচ্ছে যে তারা সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হচ্ছেন এটা এক প্রকার নিশ্চিত। তাহলে প্রশ্ন উঠছে কমিশনার কেন বললেন “এখনও বলতে পারছি না।” তিনি কি কিছু লোকাতে চাইছেন ? এদিকে এদিন সকালেই আরও একটি প্রশ্নে সরাসরি উত্তর না দিয়ে স্বভাবসিদ্ধ ভঙ্গিতে স্মিত হেসে হাতের ইশারায় যে ইঙ্গিত তিনি (কমিশনার) করলেন, বিতর্ক শুরু সেটা নিয়েও। প্রশ্ন ছিলো “ভাঙর নিয়ে পুলিশের কোনো রিপোর্ট তিনি পেয়েছেন কি না ?” এর উত্তরে হাতের ইশারায় ও কিঞ্চিত মাথা নেড়ে কমিশনার জানান এখনও কোনো রিপোর্ট তিনি পান নি। কমিশনারের এই উত্তর ও যথেষ্ট অবাক করার মতো। যে ভাঙর মনোনয়ন পর্বের শেষ দিন পর্যন্ত উত্তাল হয়ে ছিলো, যেখানে শেষ দিন তিন তিনটে রাজনৈতিক খুন হলো (তৃণমূল কংগ্রেস ও আইএস‌এফ এর দাবি অনুযায়ী), যে ভাঙরের পরিস্থিতি দেখতে শুক্রবার স্বয়ং রাজ্যপাল পৌঁছে গিয়েছিলেন, সেই ভাঙরের কোনো পুলিশ রিপোর্ট কমিশনের দফতরে শনিবার সকাল পর্যন্ত এসে না পৌছানো‌ই টা তো আশ্চর্য্য করার মতো খবর। এই ধরনের ঘটনার পর পর‌ই তো প্রাথমিক ও ২৪ ঘন্টার মধ্যে বিস্তারিত রিপোর্ট এসে পৌঁছানোর কথা।