Date : 2024-05-01

অবাধ নির্বাচনের জন্য ফোর্সের ব্যবস্থা করতে হবে রাজ্য প্রশাসনকেই। রাজ্য সরকারকে জানিয়ে দিলেন রাজীব সিনহা

সঞ্জু সুর, সাংবাদিক : অবাধ ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচন করানোর ক্ষেত্রে কোথা থেকে ফোর্স এর ব্যবস্থা করা হবে সেটা রাজ্য সরকারকেই ঠিক করতে হবে। সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচন করানোর জন্য বদ্ধপরিকর রাজ্য নির্বাচন কমিশন। সূত্রের খবর, মুখ্যসচিব ও ডিজি-র সঙ্গে বৈঠকে এমনটাই জানিয়েছেন রাজ্য নির্বাচন কমিশনার রাজীব সিনহা। তবে পাশাপাশি রাজ্য পুলিশের উপরেই যে তাঁর আস্থা আছে সেকথাও জানান তিনি।

রাজ্যের ২২ টি জেলায় প্রায় ৬১ হাজারের বেশি পোলিং স্টেশনে হবে পঞ্চায়েত নির্বাচনের ভোট গ্রহণ। এই ভোট গ্রহণ পর্বে নিশ্চিদ্র নিরাপত্তা ব্যবস্থা যাতে বজায় থাকে তা সুনিশ্চিত করতে শুক্রবার দুই দফায় রাজ্য প্রশাসনের সঙ্গে বৈঠক করলেন রাজ্য নির্বাচন কমিশনার রাজীব সিনহা। এদিন দ্বিতীয় দফায় রাজ্যের মুখ্য সচিব হরিকৃষ্ণ দ্বিবেদী ও রাজ্য পুলিশের মহা নির্দেশক মনোজ মালব্যর সঙ্গে বৈঠক করেন রাজ্য নির্বাচন কমিশনার রাজীব সিনহা। সূত্রের খবর, এই বৈঠকে প্রশাসনের দুই শীর্ষ কর্তার কাছে কমিশনের পক্ষ থেকে জানতে চাওয়া হয় নিরাপত্তার বিষয়ে রাজ্য সরকার কি চিন্তা ভাবনা করছে। সূত্রের আরও খবর সেখানেই মুখ্য সচিব ও ডিজি দুজনেই নির্বাচন কমিশনার রাজীব সিনহাকে আশ্বস্ত করে জানান তারা সব রকম প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিচ্ছেন। প্রায় ৬১ হাজারেরও বেশি পোলিং স্টেশনের নিরাপত্তা কিভাবে রাজ্য সরকারের পুলিশের মাধ্যমে করা সম্ভব সেই বিষয়ে সরকারের অবস্থান কি? এই বিষয়ে নির্বাচন কমিশনার রাজীব সিনহা সরকারের দুই শীর্ষ আধিকারিককে পরিষ্কার জানিয়ে দেন অবাধ ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচন করানোর ক্ষেত্রে কোথা থেকে ফোর্স আনা হবে সেটা রাজ্য সরকারকেই স্থির করতে হবে, এ বিষয়ে কমিশন কোন অভিযোগ শুনতে রাজি নয়। এদিকে নবান্ন সূত্রে খবর রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে ইতিমধ্যে পশ্চিমবঙ্গের পার্শ্ববর্তী দুই তিনটি রাজ্যের সঙ্গে এই বিষয়ে কথা বলা হচ্ছে। প্রয়োজনে উক্ত রাজ্য গুলি থেকে সেই রাজ্যের সশস্ত্র পুলিশ নিয়ে আসা হতে পারে। সূত্রের খবর, অবাধ ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচন করানোর ক্ষেত্রে রাজ্য নির্বাচন কমিশন কে সব রকম সাহায্য করা হবে বলেই শুক্রবারের বৈঠকে জানিয়ে দিয়েছেন মুখ্য সচিব হরিকৃষ্ণ দ্বিবেদী ও ডিজি মনোজ মালব্য।

এদিকে এদিন প্রথম দফায় রাজ্যের ২২ টি জেলার জেলাশাসক ও পুলিশ সুপারদের সঙ্গে বৈঠক করেন তিনি। কমিশন ও জেলা প্রশাসন সূত্রে খবর এই বৈঠকে নির্বাচন কমিশনার রাজিব সিনহা বেশ কয়েকটি পদক্ষেপ গ্রহণের কথা বলেছেন। সেগুলি হলো,
১) যে কোনো রাজনৈতিক দলের যে কোনো প্রার্থী মনোনয়নপত্র জমা দিতে চাইলে তা নিশ্চিত করতে হবে জেলা প্রশাসনকেই।
২)সব রাজনৈতিক দল যেন শান্তিপূর্ণভাবে মনোনয়নপত্র জমা দিতে পারে তা নিশ্চিত করতে হবে।
৩) ফর্ম শেষ হয়ে গেলে কমিশনের ওয়েবসাইট থেকে ফর্ম ডাউনলোড করে নেওয়ার পরামর্শ রাজনৈতিক দলগুলোকে দিতে হবে এবং প্রয়োজনে তাদের সাহায্য করতে হবে।
৪) দেওয়াল লিখন নিয়ে কোনরকম ঝামেলা বরদাস্ত করা হবে না।
৫) প্রার্থী বা কর্মীদের বা ভোটারদের নিরাপত্তা নিয়ে কোন অভিযোগ যেন কমিশনের কাছে না আসে।
৬) অবাধ ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচন করানোর ক্ষেত্রে প্রশাসনের কোনরকম গাফিলতি নির্বাচন কমিশন বরদাস্ত করবে না।