নাজিয়া রহমান, সাংবাদিক : সাধারণ মানুষের জন্য খুলে গেল স্পেস মিউজিয়াম। কলকাতায় প্রতিষ্ঠিত হল দেশের মধ্যে প্রথম জ্যোতির্বিদ্যার জাদুঘর। এবার শীতে শহরবাসীর কাছে নতুন গন্তব্য হল এই জাদুঘর। এখানে এসে জ্যোতির্বিজ্ঞানী এবং জ্যোতিরবিদ্যা সম্পর্কিত নানা তথ্য জানতে পারবেন বিজ্ঞানমনস্ক এবং বিজ্ঞানপ্রেমী মানুষেরা।
এখন প্রশ্ন এই জাদুঘরে কি দেখানো হয়েছে?,আর কি আছে? যা মানুষকে অবাক করে দেবে। জ্যোতির্বিদ্যার জাদুঘরে রাখা হয়েছে নীল আমস্ট্রংয়ের চুল, চাঁদ ও মঙ্গল গ্রহ থেকে আনা মাটি- পাথর–সহ নানা বস্তু। যা দেখতে অবশ্যই উৎসাহী হবেন রাজ্যের মানুষজন। এছাড়াও এখানে তৈরি করা হয়েছে নীল আমস্ট্রংয় যে অ্যাপেলো১১ এ করে চাঁদের দেশে গিয়েছিলেন, হুবহু সেই যন্ত্রের মডেল। যার মধ্যে বসে আছেন প্রথম চাঁদের দেশে পাড়ি দেওয়া নীল আমস্ট্রং। তিনি কি ভাবে চাঁদ থেকে পৃথিবীতে নেমে এসেছিলেন তাও ছবি সাহায্যে দেখানো হয়েছে। এছাড়াও রাইট ব্রাদার্স দ্বয়ের প্রথম প্লেন, তাদের মডেল, মেঘনাদ সাহার দুস্পাপ্য ডায়েরি, জ্যোতির্বিজ্ঞানীদের সই, বিভিন্ন গ্রহ উপগ্রহের পাথর যেগুলো কখনো না কখনো পৃথিবীতে এসে পড়েছে। এই রকম অজস্র দুস্পাপ্য জিনিস এখানে এসে দেখতে পাবেন দর্শকেরা। ইন্ডিয়ান সেন্টার ফর ফিজিক্সের গ্রাউন্ড ফ্লোরে এই জ্যোতির্বিদ্যার জাদুঘর গড়ে তোলা হয়েছে। সরকারি সাহায্যপ্রাপ্ত এই ইনস্টিটিউট নেতাজি নগরে অবস্থিত। দক্ষিণ কলকাতার মধ্যবর্তী স্থানে এই জ্যোতির্বিদ্যার জাদুঘর এখন চর্চার কেন্দ্রবিন্দুতে বলা যেতে পারে। প্রথমদিন থেকেই এই মিউজিয়ামে প্রতি মানুষের আগ্রহ লক্ষ্যনীয়।
এখন শুধু শনিবার, রবিবার ও ছুটির দিনে এই মিউজিয়াম খোলা থাকলেও পরবর্তীকালে খোলা থাকার দিন আরও বাড়ানো হতে পারে। এখন সপ্তাহন্তে সকাল ৯টা থেকে সন্ধ্যে ৬টা পর্যন্ত খোলা থাকবে। এই মিউজিয়াম বিজ্ঞানপ্রেমী এবং বিজ্ঞানমনস্ক মানুষদের কাছে এক আদর্শ জাদুঘর হবে সে কথা বলার অপেক্ষা রাখে না।