সঞ্জনা লাহিড়ী, সাংবাদিক- কলকাতার মানুষের সহজ পরিবহনের মাধ্যম হিসেবে তালিকায় প্রথম স্থান নিয়েছে কলকাতা মেট্রো রেল। শহরের সব থেকে পুরনো মেট্রোর ব্লু লাইন অর্থাৎ উত্তর- দক্ষিণ করিডর ছাড়াও ইতিমধ্যেই জায়গা করে নিয়েছে গ্রীন লাইন ও পার্পল লাইন। মেট্রো বিস্তার লাভ করার কারণে বর্তমানে কম খরচে বিস্তর পথ অতিক্রম করতে কম ঝক্কি পোহাতে হয় মানুষকে। গঙ্গার তলা দিয়ে দেশে প্রথম মেট্রো শুরু হবে কলকাতায়। প্রস্তাবিত পথ অনুযায়ী হাওড়া ময়দান থেকে এসপ্ল্যানেড পর্যন্ত মেট্রো পরিষেবা চালু করার জন্য তোড়জোড় শুরু হয়েছে। বার কয়েক ট্রায়াল রানও হয়েছে এই পথে। এই রুটের স্টেশন ও অন্যান্য প্রযুক্তিগত যাবতীয় কাজ শেষ হয়ে গেলেও এখনও পর্যন্ত এই রুটে মেট্রো চলাচলের অনুমোদন মেলেনি তবে অন্য একটি রুটে খুব তাড়াতাড়ি মেট্রো পরিষেবা চালু হতে চলেছে। সব ঠিক থাকলে লোকসভা নির্বাচনের আগেই চালু হয়ে যাবে নিউ গড়িয়া থেকে রুবি পর্যন্ত। সম্প্রতি মেট্রো রেলের সেফটি কমিশনার কলকাতা মেট্রোর বিভিন্ন রুট পরিদর্শন করেন। যে রুটগুলিতে এখনও পর্যন্ত মেট্রো চালু হয়নি সেই রুটগুলি পরিদর্শন করে প্রাথমিকভাবে নিউ গড়িয়া থেকে রুবি পর্যন্ত মেট্রোর অরেঞ্জ লাইনে মেট্রো চলাচলের অনুমতি দেওয়া হয়েছে রেলওয়ে সেফটি কমিশনারের তরফ থেকে। ফল এই রুটে মেট্রো চলাচলে আর কোনও বাধা থাকল না। নিউ গড়িয়া থেকে রুবি পর্যন্ত মোট দূরত্ব ৫.৪ কিলোমিটার। মোট পাঁচটি মেট্রো স্টেশন রয়েছে এখনও পর্যন্ত এই রুটে। বৈদ্যুতিক ইন্টারলকিং ব্যবস্থায় এই রুটে আপাতত একটি ট্রেন পরিষেবা দেওয়ার অনুমতি পাওয়া গেছে। যদিও নিউ গড়িয়া থেকে রুবি পর্যন্ত মেট্রো চলাচলের অনুমতি গত বছর ফেব্রুয়ারি মাসেই পাওয়া গেছিল। তবে বৈদ্যুতিক ইন্টারলকিং ব্যবস্থা পরে সংযোজন হয়। এরপরে রেলওয়ে সেফটি কমিশনার সব দিক খতিয়ে দেখে বর্তমানে মেট্রো চলাচলের অনুমতি দিয়েছে। বহু প্রতীক্ষিত জোকা- মাঝেরহাট এবং হাওড়া ময়দান- এসপ্ল্যানেড পর্যন্ত মেট্রো পরিষেবা এখনও চালু হয়নি। এই দুই রুটের অনুমতি খুব তাড়াতাড়ি পাওয়া যাবে বলে আশা করছে মেট্রো কর্তৃপক্ষ। এই ২ রুটের মেট্রো পরিদর্শনের সময় বেশ কিছু সমস্যা দেখা যায়। সেই সমস্যা সমাধান করে সেই তথ্য পাঠানো হবে রেলওয়ে সেফটি কমিশনারকে। সেখান থেকে অনুমোদন মিললেই চালু হয়ে যাবে এই ২ মেট্রো রুট।
Facebook
Instagram
Twitter
Rplus is most proud of how its work impacts the real world and how it is using its powerful reach to campaign for and with the people of Bengal.