ওয়েব
ডেস্ক:-
বুধবার
বিশ্ব জুড়ে পালিত হল ২৭ তম
আন্তর্জাতিক সংখ্যালঘু অধিকার
দিবস। সেই উপলক্ষ্যে ট্যুইট
করে রাজ্যবাসীকে শুভেচ্ছা
জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা
বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি
সংখ্যালঘুদের বার্তা দিয়ে
বলেন,
“সংখ্যালঘুদের
জন্য সরকার নানা কাজ করেছে।
তাদের উন্নয়নে গত আট বছরে সাত
গুণ টাকা বাড়ানো হয়েছে।
দুকোটির
বেশি সংখ্যালঘু ছাত্রছাত্রীকে
স্কলারশিপ দেওয়া হয়েছে। এতে
বাংলা এক নম্বর।
স্বরোজগারের
লক্ষ্যে আট লক্ষের বেশি
সংখ্যালঘু যুবকযুবতী ও স্বনির্ভর
গোষ্ঠীগুলির সদস্যদের ঋণ
দেওয়া হয়েছে।”
এরাজ্যে গত আট বছরে সংখ্যালঘু উন্নয়নে দিকে দৃষ্টিপাত করেছে সরকার। নতুন আইন প্রণয়ন করে রাজ্যে প্রায় ১০৭ টি মুসলিম সংখ্যালঘু শ্রেনীকে তার আওতায় রাখা হয়েছে। এরফলে সরকারি চাকরি ও উচ্চশিক্ষার খাতে অনেকটাই সুবিধা পেয়েছেন তারা।
সরকারি চাকরি ও উচ্চশিক্ষা ক্ষেত্রে প্রায় ১৫% সংরক্ষণ করা হয়েছে। পার্ক সার্কাসে অতিরিক্ত ক্যাম্পাস-সহ নিউটাউনে অত্যাধুনিক আলিয়া বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠিত হয়েছে, যার প্রকল্প ব্যয় ৫১৭ কোটি টাকা।
· যুবক-যুবতীদের কারিগরি শিক্ষা প্রদান ও চাকুরির সুযোগ তৈরীর জন্য সংখ্যালঘু অধ্যুষিত এলাকায় ৮টি নতুন পলিটেকনিক ও ৩৯টি নতুন আইটিআই নির্মিত হচ্ছে। এখনও পর্যন্ত ৪টি নতুন পলিটেকনিক ও ২২টি নতুন আইটিআই তৈরী হয়েছে।
সেইসব এলাকায় যেখানে ১০%-এর বেশী মানুষ উর্দু, নেপালি, গুরুমুখি প্রভৃতি ভাষায় কথা বলেন, সেখানে এই ভাষাগুলিকে সরকারি ভাষার স্বীকৃতি দেওয়ার জন্য ওয়েস্ট বেঙ্গল অফিসিয়াল ল্যাঙ্গোয়েজ (অ্যামেন্ডমেন্ট) অ্যাক্ট, ২০১২ প্রণয়ন করা হয়েছে। এই আইন প্রনয়নের ফলে এইসব ভাষায় কথা বলা মানুষের সরকারি দপ্তরে নিজেদের মাতৃভাষায় আদানপ্রদানের ব্যাপারে দীর্ঘদিনের দাবীপূরণ হয়েছে। উর্দু ভাষার জন্য বাড়ানো হয়েছে বরাদ্দ।