করোনা সঙ্কটকালে বিশ্বজুড়ে দেশে-দেশে অর্থনীতিতে ধস। কর্মসংস্থান তলানিতে। বাড়ছে বেকারত্ব। দেউলিয়া ঘোষিত হয়েছে বহু নামিদামি সংস্থা। এর মধ্যেও ব্যবসা-বাণিজ্য থেমে নেই। সময় ও সুযোগকে কাজে লাগিয়ে চলছে এগিয়ে যাওয়ার লড়াই। সেই লড়াইয়েই আরও একধাপ এগোলেন রিলায়েন্স ইন্ডাস্ট্রিজের কর্ণধার মুকেশ আম্বানি। আর পাঁচ নয়, এখন থেকে তিনি বিশ্বের চতুর্থ ধনীশ্রেষ্ঠ। সংবাদ সংস্থা ব্লুুমবার্গ বিলিওনেয়ার শনিবার যে সূচক প্রকাশ করেছে তাতে বিশ্ব ধনকুবেরদের তালিকায় পাঁচ থেকে চারে উঠে এসেছেন রিলায়েন্সের কর্ণধার। করোনাকালে বিশ্বজুড়েই বেড়েছে জ্বালানি তেলের চাহিদা। সেই চাহিদার সঙ্গে সঙ্গতি রেখেই বেড়েছে মুকেশের জ্বালানি সাম্রাজ্য। ফলও মিলেছে হাতেনাতে। মুকেশ আম্বানি পরিচালিত সব সংস্থার মোট সম্পদের পরিমাণ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৮০.৬ বিলিয়ন ডলার। ভারতীয় মুদ্রায় যা প্রায় ৮০৬০ কোটি ডলার। ব্লুমবার্গের সূচক অনুযায়ী প্রথম স্থানে রয়েছেন আমাজনের প্রতিষ্ঠাতা তথা সিইও জেফ বেজোস। মোট সম্পদের পরিমাণ ১৮৭ বিলিয়ন ডলার। দ্বিতীয়স্থানে রয়েছেন মাইক্রোসফটের সহ-প্রতিষ্ঠাতা বিল গেটস (১২১ বিলিয়ন ডলার)। ১০২ বিলিয়ন ডলারের মোট সম্পদ নিয়ে তৃতীয় স্থানে রয়েছেন ফেসবুকের সহ-প্রতিষ্ঠাতা তথা সিইও মার্ক জুকেরবার্গ। শেয়ার থেকে টেলিকম, গত কয়েক সপ্তাহে মুকেশের সংস্থা রিলায়েন্সের শেয়ারের দাম রকেটের গতিতে এগিয়েছে। ডিজিটাল পরিষেবার জিওতে বড় রকমের লগ্নি করতেও দেখা গিয়েছে মুকেশকে। গত জুনেই মুকেশ বলেছিলেন, এই সময় রিলায়েন্সের জন্য সোনালি দশক। সেই জুন মাসেই বিশ্বের সেরা দশ ধনকুবেরের তালিকায় নিজের নাম খোদাই করেছিলেন মুকেশ আম্বানি।
Facebook
Instagram
Twitter
Rplus is most proud of how its work impacts the real world and how it is using its powerful reach to campaign for and with the people of Bengal.