Date : 2024-03-19

করোনায় মৃত্যুর ৫ মাস পর মৃতের ময়না তদন্তের নির্দেশ হাই কোর্টের

ষষ্ঠী চট্টোপাধ্যায়, রিপোর্টার : করোনা আক্রান্ত হয়ে মারা যান বেলঘড়িয়ার বাসিন্দা কাকলী সরকারের। মৃত্যুর ৫ মাস পর মৃতের ময়না তদন্তের নির্দেশ হাইকোর্টের বিচারপতি রাজা শেখর মান্থার।মামলাকারীরা আইনজীবী জয়ন্ত নারায়ণ চট্টোপাধ্যায় আদালতে জানান গত ২২ শে এপ্রিল২০২১সালে করোনায় আক্রান্ত হয়ে মিডল্যান্ড নার্সিংহোমে ভর্তি হন বেলঘড়িয়ার বাসিন্দা কাকলী সরকার। ২৫ শে এপ্রিল তিনি সকালে মারা যান মিডল্যান্ড নার্সিংহোমে।

পরিবারের দাবি, মৃত্যুর আগে কাকলী দেবী জানিয়েছিলেন, যে এই বেসরকারি হাসপাতালে অঙ্গ বিক্রির একটা বড় চক্র চলছে। তারও অঙ্গ – প্রত্যঙ্গ বিক্রির পরিকল্পনা করছে নার্সিংহোম কতৃপক্ষ।তাঁদের অভিযোগ তার পরেই নার্সিং হোমের এক নার্স একটি ইনজেকশন দেওয়ার সাথেসাথেই কাকলী দেবীর মৃত্যু হয়।

এই ঘটনায় রাজ্যের স্বাস্থ্য কমিশনের দ্বারস্থ হয়েছিলেন কাকুলি দেবীর পরিবার। কমিশন বেসরকারি হাসপাতাল কে ২ লাখ টাকা ক্ষতিপূরণ দেওয়ার নির্দেশ দেন।বেলঘরিয়া মিডল্যান্ড নার্সিংহোমের বিরুদ্ধে CID বা নিরপেক্ষ তদন্তকারী সংস্থাকে দিয়ে তদন্তের দাবিতে হাইকোর্টে দ্বারস্থ হয় পরিবার।

পাশাপাশি সরাসরি ভারতীয় সংবিধানের ফৌজদারি ৩০২ ধারায় খুনের ধারায় মামলা শুরু করার আর্জি জানান আইনজীবী জয়ন্ত নারায়ণ চট্টোপাধ্যায় ।

গত ১৩ ই সেপ্টেম্বর মৃতের দেহের দ্বিতীয়বার ময়নাতদন্তের নির্দেশ দেয় আদালত। এন আর এস হাসপাতালের তিনজন চিকিৎসককে দিয়ে বিশেষ দল গঠন করে ময়নাতদন্তের নির্দেশ জারি করা হয়।মৃতের শরীরের সব অঙ্গ প্রত্যঙ্গ আছে কিনা বা কোন অঙ্গ বদলে ফেলা হয়েছে কিনা তাও দেখার জন্য এই বিশেষ দলকে নির্দেশ দিয়েছিল আদালত।

দ্বিতীয় বার ময়না তদন্তের সময় দেহ সনাক্ত করতে অস্বীকার করে কাকুলি দেবীর পরিবার। তাঁদের দাবি, এটা কাকুলি সরকারেরদেহ নয়। অন্য কারও দেহকে কাকুলি সরকারের দেহ বলে চালিয়ে দিতে চেয়েছে হাসপাতাল কতৃপক্ষ বলে অভিযোগ ।মঙ্গলবার বিচারপতি শুনানি শেষে ফের ময়না তদন্তের নির্দেশ দেন।