Date : 2024-05-06

গড়ফায় অভিনেত্রীর ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার, তদন্তে গড়ফা থানার পুলিশ

সঞ্জনা লাহিড়ী, সাংবাদিক: গড়ফার কে পি রায় রোডের ফ্ল্যাট থেকে উদ্ধার অভিনেত্রীর ঝুলন্ত দেহ। বছর পঁচিশের অভিনেত্রী পল্লবী দের দেহ উদ্ধার করে গড়ফা থানার পুলিশ। কি কারণে আত্মহত্যা তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ। আমি সিরাজের বেগম, কুঞ্জছায়ার মতো একের পর এক টেলি ধারাবাহিকে সাফল্যের সঙ্গে কাজ করেছিল বছর পঁচিশের অভিনেত্রী পল্লবী দে। হাওড়ার বাসিন্দা পল্লবী গড়ফার কে পি রায় রোডের একটি আবাসনের তিন তলায় গতমাসে ভাড়া নিয়ে আসে। স্বামী সস্ত্রী পরিচয় থাকতে শুরু করেন লিভ ইন পার্টনার সাগ্নিক চক্রবর্তীর সঙ্গে। রবিবার সকালে তাঁর পার্টনার ঝুলন্ত অবস্থায় দেখতে পেয়ে খবর দেয় অভিনেত্রীর পরিবারকে। গড়ফা থানার পুলিশ গিয়ে দেহ উদ্ধার করে বাঙ্গুর হাসপাতালে নিয়ে যায়।

সেখানেই তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন চিকিৎসকরা। এরপর ময়নাতদন্তের জন্য নিয়ে যাওয়া হয় কাটাপুকুর মর্গে। ময়নাতদন্তের প্রাথমিক রিপোর্ট অনুযায়ী আত্মহত্যা করেছেন অভিনেত্রী বলে পুলিশ সূত্রে জানা গেছে। তবে কি কারণে আত্মহত্যা তা এখনও স্পষ্ট নয়। অস্বাভাবিক মৃত্যু মামলা রুজু করেছে পুলিশ। বিগত দু বছর ধরে সাগ্নিকের সঙ্গে সম্পর্কে ছিল পল্লবী। দেড় বছর ধরে লিভ ইনে ছিল তাঁরা। গতমাসে গড়ফার ফ্ল্যাটে ভাড়া নিয়ে আসেন তাঁরা। শনিবার সন্ধ্যায় সাগ্নিকের সঙ্গে ঘুরতে বেরিয়েছিল পল্লবী। রাতে পরিবারের সঙ্গে শেষ কথা হয় পল্লবীর। মায়ের কাছে ধোঁকার ডালনার রেসিপিও চান তিনি। মেয়ের আচরণ তখনও স্বাভাবিক ছিল। কাজের জায়গায় কখনও সমস্যায় পড়েছেন বলেও পরিবার কখনও কিছু শোনেনি।

সাগ্নিকের সঙ্গে সম্পর্কের টানা পোড়েন ছিল বলেও কখনও শোনেনি পল্লবীর পরিবার। তাঁদের সম্পর্ক মেনে নিয়েছিল। পল্লবীর পরিবারের তরফ থেকেই গড়ফার ফ্ল্যাটটি ঠিক করে দেওয়া হয় দুজনের থাকার জন্য। সব কিছুর পরেও মেয়ের এই পরিণতি মেনে নিতে পারছে না তাঁর পরিবার। অল্পেই রেগে যেত পল্লবী বলে জানিয়েছে সাগ্নিকের পরিবার। হাওড়ার বাসিন্দা পেশায় বেসরকারি চাকুরীজীবি সাগ্নিকের পরিবার লিভ ইন সম্পর্ক মানতে পারছিলেন না। যদিও তাঁর পরিবারে যাওয়া আসা ছিল পল্লবীর। পল্লবীর অল্পেই রেগে যাওয়ার বিষয়ে সাগ্নিকের পরিবার জানত বলে লিভ ইনে থাকা নিয়ে কখনও বাধা দেয়নি। পল্লবীর এই পরিণতিতে হতবাক তাঁরাও। উঠতি অভিনেত্রী কি কারণে আত্মহত্যা করল তা এখনও ধোঁয়াশা পরিবারের কাছে। মৃত্যুর কারণ খতিয়ে দেখছে গড়ফা থানার পুলিশ।