Date : 2024-05-02

মুড়িতে মিলবে উপকার

সঞ্জনা লাহিড়ী, সাংবাদিক:বৃষ্টির দিনে মুড়ি দিয়ে তেলেভাজা বা চানাচুর খেতে বেশ লাগে। অত্যন্ত সহজপাচ্য খাবার মুড়ি শরীরের জন্য যথেষ্ট উপকারী বলেই মানা হয়।
মুড়িতে রয়েছে প্রচুর পুষ্টিগুণ। কম ক্যালোরির পেট ভরানোর খাবার হিসেবে এখন উচ্চবিত্ত মহলেও মুড়ির প্রচলন ক্রমশ বাড়ছে। ওজন কমানো সহ শরীরে ক্যালসিয়ামের ঘাটতি রোধে মুড়ি কার্যকরী এক উপাদান। আজ থাকল মুড়ির গুণাবলী।


১. মুড়ি অ্যাসিডিটি রোধ করে। যাঁদের হজমের সমস্যা রয়েছে বা অ্যাসিডিটি হয়। তাঁদের ক্ষেত্রে মুড়ি খুবই উপকারী। তাই নিয়মিত মুড়ি খেলে অ্যাসিডিটি কমবেই।
২. মুড়িতে রয়েছে উচ্চ পরিমাণে শর্করা। এটি শরীরের শক্তি বৃদ্ধিতে সাহায্য করে। দৈনন্দিন কাজে সক্রিয় থাকতে জ্বালানি হিসেবে কাজ করে মুড়ি।
৩. পেটের সমস্যায় শুকনো মুড়ি বা জলে ভেজানো মুড়ি খেলে বেশ তাড়াতাড়ি উপকার পাওয়া যায়।
৪. মুড়িতে ভিটামিন বি ও প্রচুর পরিমাণে মিনারেল থাকায় রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়। পাশাপাশি হৃদরোগের ঝুঁকিও কমায়।
৫. মুড়ি চিবিয়ে খেতে হয়। এর ফলে দাঁত ও মাড়ির একটা ব্যায়াম হয়। নিয়মিত মুড়ি খেলে দাঁত ও মাড়ি ভাল থাকে। এছাড়াও মুড়িতে রয়েছে ক্যালসিয়াম, আয়রন ও ফাইবার, যা হাড় শক্ত করে। এছাড়া মুড়িতে রয়েছে শর্করা, যা প্রতিদিনের কাজে শক্তি যোগান দেয়।
৬. কম ক্যালরির খাবার হিসেবে মুড়ি খেতে পারেন। বাড়িতে বা অফিসে যখনই হালকা ক্ষুধা লাগবে তখনই মুড়ি খেয়ে নিলে ক্ষুধা মিটবে, ক্ষতিও হবে না।
৭. মুড়িতে সোডিয়ামের পরিমাণ অত্যন্ত কম থাকে। যারা উচ্চ রক্তচাপের সমস্যায় ভোগেন, তারা মুড়ি খেতে পারেন।
৮. মুড়িতে রয়েছে নিউরোট্রান্সমিটার পুষ্টিগুণ। ফলে মুড়ি খেলে মস্তিষ্কের স্নায়ু উদ্দীপনাসহ বিভিন্ন স্বাস্থ্য উপকারিতা পাওয়া যায়। এটি মস্তিষ্কের উন্নতি এবং কগনেটিভ ফাংশনের উন্নতিতে সাহায্য করে।
৯. মুড়ি ওজন কমাতে সহায়তা করে। এই সুস্বাদু খাবার হতে পারে স্বাস্থ্যকর ডায়েট স্ন্যাকস।
মুড়ির এত গুণ জানার পর হয়তো অনেকেই মুড়ি খাওয়ার প্রতি আগ্রহী হয়ে উঠবে। এই বিষয়ে একটু সাবধান। উপকারিতার পাশাপাশি মুড়ির কিছু পার্শ্ব প্রতিক্রিয়াও রয়েছে। বেশি মুড়ি খেলে ডায়বেটিকের সম্ভাবনা বেড়ে যায়। মুড়ির উচ্চ পরিমাণ গ্লাইসিমাইক রক্তে গ্লুকোজের মাত্রা বাড়িয়ে দেয়। তাই মুড়ি পরিমিত পরিমাণে খাওয়া ভাল। মুড়ি কার্বোহাইড্রেট সমৃদ্ধ। তাই বেশি মুড়ি খেলে ওজন বৃদ্ধি পায়। ফলে স্থূলতা হতে পারে।