Date : 2024-05-02

গাড়ির স্টেয়ারিং হাতে মিতু দে। রাজপথে দৌড়াচ্ছে মিতুর গোলাপী পক্ষীরাজ। কি ভাবে শুরু হল তাঁর পথচলা।

শাহিনা ইয়াসমিন, সাংবাদিক: যে রাঁধে সে চুলও বাঁধে। পিঙ্ক ক্যাব চালক মিতু দে তেমনই এক উদাহরণ। সব্যসাচীর মত একহাতে সংসার আর অন্যহাতে ক্যাবের স্টিয়ারিং সামলাচ্ছেন তিনি। আত্মনির্ভরশীল হওয়াই তাঁর যাত্রা পথের প্রেরণা।

আমি নারী, আমি মহীয়সী, আমার সুরে সুর বেধেঁছে জোত্সনা বীণায়, নিদ্রাবিহীন শশী। আমি না হলে মিথ্যা হত সন্ধ্যাতারা ওঠা। আমি না হলে মিথ্যা হত কাননে ফুল ফোটা। হাতে শাখা পোলা। সংসার করার পাশাপাশি গাড়ির স্টেয়ারিং ধরতেও সেই হাত কাঁপে না তার। এমনি এক নারী হলেন মিতু দে। রাজারহাট নারায়ণপুরের বাসিন্দা মিতু। গাড়ি চালানো তার পেশা। পেশায় এখন নেশাতে পরিণত হয়েছে। সংসারের হাল ধরতেই ড্রাইভারের পেশায় আসা। পিঙ্ক ক্যাব চালাচ্ছেন তিনি। ৪ বছর ধরে এই পেশাতে রয়েছেন। গাড়ির চাবি ঘুরিয়েই। এক্সিলেটরে পা। গিয়ারে হাত। ড্রাইভিং-এ দক্ষতা তাঁর পরিশ্রমের ফসল। আত্মবিশ্বাস তাঁর সম্পদ। এই দুই ডানায় ভর করেই শহরের রাজপথে চলছে মিতুর গোলাপী পক্ষীরাজ। দুটো মেয়ে, স্বামী নিয়ে ছোট্ট সংসার মিতু দে-র। স্বামী হার্টের রোগী। ছোট্ট একটি দোকান আছে মিতুর স্বামীর। তাতেই দিনগুজরান হয় তাঁর পরিবারের। স্বামীর পাশে দাঁড়ানো এবং আত্মনির্ভরশীল হতেই এই পেশায় আসেন মিতু। এই পেশায় কাজ করতে গিয়ে অনেক কটুক্তি শুনতে হয়েছে মিতুকে। তবে অনেক প্রশংসাও কুড়িয়েছেন তিনি। দিনে দুপুরে – রাতবিরেতে রাস্তায় বেরোনো বহু মহিলাদের আকছার অনেক সমস্যার মুখে পড়তে হয়। গাড়ির চালকদের দুর্ব্যবহারের সম্মুখীন হতে হয় মহিলাদের। রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে মহিলাদের জন্য পিঙ্ক ক্যাব চালু করা হয়। মহিলাদের সুবিধার্থে মহিলা চালকই একমাত্র বিকল্প পথ। জানালেন যাত্রী বৃন্দা মল্লিক। অন্যান্য মেট্রো সিটিতেও মহিলা চালিত গাড়ির পরিষেবা রয়েছে। কলকাতাতে পিঙ্ক ক্যাবের পরিষেবা যদি আরও বাড়ানো হয় তাহলে মহিলাদের সুবিধা হবে বলে জানাচ্ছেন মহিলাদের একাংশ। তাই চাহিদা বাড়ছে মিতুদের মত মহিলা চালকদের।