Date : 2024-04-26

বাদাম খাওয়ার টাকা দিচ্ছেন নাকি ? DA মামলায় মন্তব্য বিচারপতি রাজা শেখর মান্থা

ষষ্ঠী চট্টোপাধ্যায়, সাংবাদিক:- সময়মতো বকেয়া DA না মেটানোর কারণে বেতন বন্ধের নির্দেশ হাই কোর্টের।

আদালতের নির্দেশ মত রাজ্য বিদ্যুৎ পর্ষদের কর্মীদের ডিএ না দেওয়ায় এবার বিদ্যুৎ পর্ষদের সিএমডি এবং দুই জেনারেল ম্যানেজারের বেতন বন্ধের নির্দেশ হাইকোর্টের। ১৫ জুলাই পর্যন্ত বেতন বন্ধ থাকবে। এর মধ্যে নির্দেশ মত টাকা দেওয়া হলে নির্দেশ প্রত্যাহার করা হবে। অভিযোগ, ২০১৯ এবং ২০২০ সালের বকেয়া ডি এ র এক পঞ্চাংশ কর্মীদের দেওয়ার কথা ছিল। কিন্তু তা না দিয়ে শুধু ২০১৯ সালের বকেয়ার এক পঞ্চমাংশ দেওয়া হয়েছে। ২০২০ সালের নতুন রোপা রুল অনুযায়ী বকেয়া ডি এ হিসাব করে তার এক পঞ্চমাংশ দেওয়া হলো না কোনো প্রশ্ন আদালতের। বিচাপতির মন্তব্য, বাদাম খাওয়ার টাকা দিয়েছেন নাকি? যতদিন নির্দেশ না মানা হচ্ছে আধিকারিক দের বেতন বন্ধ থাকবে।

মামলার বয়ান অনুযায়ী ২০১৯ এবং ২০২০ সালের বকেয়া ডি এ র এক পঞ্চাংশ কর্মীদের দেওয়ার কথা ছিল।২৩ জুনের মধ্যে রাজ্যের দুই বিদ্যুৎ সংস্থার প্রায় ২০ হাজার কর্মীর বকেয়া ডিএ র পাঁচ ভাগের এক ভাগ মিটিয়ে দিতে নির্দেশ দিয়েছিলেন। আদালত অবমাননার মামলায় নির্দেশ ছিল বিচারপতি রাজা শেখর মান্থর।

ওই দিন বকেয়া মেটানোর পরদিন ২৪ জুন আদালতকে নির্দেশ পালন হয়েছে এই মর্মে জানাতে হবে। বাকি টাকা কত কিস্তিতে মেটাতে হবে ওইদিন সেই নির্দেশ দেবে আদালত। যদি ওই দিন নির্দেশ কার্যকর না হয় তাহলে সংস্থার এমডি ও দুই CMD র বেতন বন্ধের বিষয়ে ভাববে আদালত। দুই বিদ্যুৎ সংস্থার কর্মীদের বকেয়া ডি এ মিটিয়ে দিতে প্রথম নির্দেশ দেয় বিচারপতি রাজা শেখর মান্থা। সেই রায় পর্ষদ চ্যালেঞ্জ করলে ডিভিশন বেঞ্চ একই নির্দেশ বহাল রেখে ছিলেন।

পর্ষদের পক্ষ থেকে সুপ্রিম কোর্টে দুবার আবেদন করে।কিন্তু শীর্ষ আদালত কলকাতা হাই কোর্টের সিঙ্গেল বেঞ্চের রায় বহাল রাখেন।মামলা দুটি পুনরায় বিচারপতি রাজা শেখর মান্থার এজলাসে ফিরে আসে। ৬ সপ্তাহের মধ্যে যাবতীয় বকেয়া মেটানোর নির্দেশ দেন। কিন্তু সেই সময়সীমা পেরিয়ে গেলেও আদালতের নির্দেশ কার্যকরহয়নি বলে অভিযোগ।যে কারণে পর্ষদের আধিকারিকদের বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার মামলা হয়। পর্ষদের আধিকারিক এমডি শান্তনু বসু সহ দুই সিএমডি।

প্রথমে সংস্থা ৩৬ মাসে ওই টাকা মেটানোর সুযোগ চায়। আদালত সেই আবেদন খারিজ করে দেয়। এক সময় টাকা মেটানোর পদ্ধতি নিয়ে টানাপোড়েন চলতে থাকে। শেষ পর্যন্ত আদালত আপাতত প্রথম ভাগ মেটানোর নির্দেশ দেয়। ফলে সুদ সমেত বকেয়া ডি এ র ৫৩০ কোটি টাকার পাঁচ ভাগের এক ভাগ মেটানোর নির্দেশ দেয়।

শুক্রবার ১৫ই জুলাই পর্যন্ত চূড়ান্ত সময়সীমা বেঁধে দেয়আদালত