Date : 2024-04-26

সারদা কাণ্ডে কেন শুভেন্দু অধিকারীর বিরুদ্ধে কেন সিবিআই তদন্ত হবে না? মামলার শুনানি শেষে রায়দান স্থগিত ডিভিশন বেঞ্চে

ষষ্ঠী চট্টোপাধ্যায়, সাংবাদিক:- মঙ্গলবার আবেদনকারী আইনজীবী রমাপ্রসাদ সরকার মামলার পরিপ্রেক্ষিতে আদালতে জানান সারদার কর্ণধার সুদীপ্ত সেন এক চিঠিতে উল্লেখ করেছেন শুভেন্দু অধিকারী তার কাছ থেকে টাকা নিয়েছিলেন। কাঁথির জন্য এই টাকা নেওয়া হয়েছিল। ক্যাশে টাকা নেওয়া হয়। কিন্তু দীর্ঘদিন ধরে সিবিআই তদন্ত চালিয়ে যাচ্ছে অথচ শুভেন্দু অধিকারী কে তারা জিজ্ঞাসাবাদ করছে না। যেখানে সারদা কর ্তা নিজেই শুভেন্দু অধিকারীর বিরুদ্ধে টাকা নেওয়ার অভিযোগ আনছে তাকে কেন তদন্তের বাইরে রাখা হবে। অবিলম্বে এই বিষয়ে আদালত হস্তক্ষেপ করুক।

শুভেন্দু অধিকারীর আইনজীবী রাজদীপ মজুমদারের দাবি সারদার ঘটনার নজরে আসার পর এক বছর পুলিশ তদন্ত করেছিল। তখন পুলিশই তদন্তে শুভেন্দু অধিকারীর নাম উঠে আসেনি। পরবর্তীকালে সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশের সিবিআই তদন্তের কাজ শুরু করে। ইতিমধ্যে সিবিআই ৭ টি চার্জসিট পেশ করেছে।
আদালত বিশেষভাবে নজর দিক যেই সময় সুদীপ্ত সেন চিঠি লিখেছিল সেই সময়টা বিধানসভার নির্বাচনের পূর্বে। সুদীপ্ত সেনের চিঠির কথা সর্বসমক্ষে এনেছিলেন তৃণমূল নেতা কুনাল ঘোষ। এই কুনাল ঘোষই সারদা স্যাকমের অন্যতম প্রিন্সিপাল অভিযুক্ত ছিল। পরবর্তীকালে রাজীব কুমার সহ তৃণমূলের বহু নেতাকে এই তদন্তে সংযুক্ত করে সিবিআই। সিবিআই এর তদন্তের শুভেন্দু অধিকারীর নাম কখনো আসেনি। বিধানসভা নির্বাচনের আগে সুদীপ্ত সেনের এই চিঠি রাজনৈতিক উদ্দেশ্য প্রণোদিত। এই জনস্বার্থ মামলা সম্পূর্ণভাবে রাজনৈতিক উদ্দেশ্য প্রণোদিত। তাই এই মামলা খারিজ করুক আদালত।

সিবিআই আইনজীবী ধীরাজ দ্বিবেদি বলেন এই আবেদন গ্রহণযোগ্য হতে পারে না। সিবিআই ইতিমধ্যে তদন্ত করেছে আবার পুনরায় তদন্ত করছেও। এমত অবস্থায় এই ধরনের আবেদন আদালতে কখনোই গ্রহণযোগ্য হতে পারে না। সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে সিবিআই তদন্ত করছে। এই আবেদন সম্পূর্ণ রাজনৈতিক উদ্দেশ্য প্রণোদিত।

অপরদিকে সুদীপ্ত সেনের চিঠিতে উল্লেখ রয়েছে কাভি পুরসভা সংক্রান্ত বিষয়ে শুভেন্দু অধিকারী টাকা নিয়েছিলেন। যার তদন্ত করছে রাজ্য পুলিশ। আবেদনকারী অনিন্দ্য সুন্দর দাসের দাবি সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে ইতিমধ্যে সারোদা তদন্ত করছে সি বি আই। সুতরাং একই বিষয়ে কখনো রাজ্য পুলিশ তদন্ত করতে পারেনা। এই দাবি জানিয়ে পুনরায় মামলা দায়ের কলকাতা হাইকোর্ট।