Date : 2024-04-26

দূষণকে রোধ করতে এবছর হাতিয়ার ছিল ঘূর্ণিঝড় সিত্রাং

শাহিনা ইয়াসমিন, সাংবাদিক: ঘূর্ণিঝড় সিত্রাং এর কারণে কলকাতা ও তার সংলগ্ন এলাকায় বৃষ্টি হয় গতকাল অর্থাৎ সোমবার। বৃষ্টি জন্যই সেভাবে আকাশে বাজির রোশনা দেখা যায়নি। তুলনামূলক কম দেখা গেছে। তবে রাত বাড়তেই শব্দবাজির আওয়াজের দাপট বেশ বেড়েছিল। পুলিশ – প্রশাসন, পরিবেশ কর্মী, কর্পোরেশন সকলের সচেতনতা ও সতর্কতার বার্তা দিলেও উপেক্ষা করেই শব্দ বাজি ফেটেছে বলা যেতেই পারে। আদালতের নির্দেশ ছিল শুধু সবুজ বাজি পড়ানো যাবে তাও আবার রাত ৮ টা থেকে ১০ টার মধ্যে। তবে বাজিপ্রেমিরা না মেনেছেন সময় না মেনেছেন শব্দমাত্রা। নিয়মকানুন কে রীতিমতো বুড়ো আঙুল দেখিয়ে চলেছে শব্দবাজির তাণ্ডব। পরিবেশবিদ সুজিব কর জানান এবছর বাজি থেকে যে বায়ুদূষণ হয়েছে সেটা তুলনামূলক কম। কারণ হিসেবে যেটা বলছেন সেটা হল ঘূর্ণিঝড় সিত্রাং।

বাতাসে আদ্রতার থাকার কারণে দূষণ কম হয়েছে। পাশাপাশি তিনি জানান মানুষ কে আরও সতর্ক ও সচেতন হতে হবে। তবে বাজি বিক্রেতা তাদের বক্তব্য অনুযায়ী সবুজ বাজি বিক্রি করেছেন তারা। পাশাপাশি যে কেমিক্যাল অর্থাৎ বেরিয়াম নাইট্রেট আইনিগত ভাবে বারণ। তার পরিবর্তে বাজি বানানো হচ্ছে স্টনসিনিয়াম নাইট্রেট দিয়ে। তার ফলে দূষণ কম হবে। এটা ছাড়াও এবার নতুন উদ্যোগ নিয়েছেন বাজি বিক্রেতা ও প্রস্তুতকারক সঞ্জীব বসু।

তিনি জানান বাজি পড়ানোর পর বাজি প্যাকেট ফেরত দিলে নগদ টাকা দেওয়া হবে। কারণ বাজির প্যাকেট থেকেই বেশি দূষণ ছড়ায়। এবং বাজির প্যাকেট ফেরত দিলে সেটা রিসাইকেলিং করা যায়। দোকানের বাইরে বড়ো বড়ো করে লেখা আছে বাজি প্যাকেট ফেরত দিলেই নগদ ২ টাকা প্রতি প্যাকেট এ। ভালোই সাড়া পেয়েছেন বলে জানান তিনি। পরের বছরও এই ধরনের নতুন প্রয়াস রাখবেন তিনি।