Date : 2024-05-08

পাত পেড়ে খাওয়া। শুক্রবার বীরভূমের বিতর্কের রেশ কি কাটলো শনিবারের ডেকার্স লেনে !

সঞ্জু সুর, সাংবাদিক : শুক্রবার বীরভূমে দলীয় কর্মির বাড়িতে খেতে বসে উঠে যাওয়া নিয়ে বিতর্কের মুখে পড়েছিলেন তৃণমূল সাংসদ শতাব্দী রায়। শনিবার শহর কলকাতার ডেকার্স লেনে রাস্তার ধারে টুল পেতে বসে খেতে খেতেই সেই বিতর্কের জবাব দিলেন তিনি। বললেন, “কালকে ওখানেও খেয়েছি, আজ এখানে খাচ্ছি। তোমরা সবটা না জেনে বিতর্ক বাঁধাচ্ছো।”

“দিদির সুরক্ষা কবচ” কর্মসূচির অঙ্গ হিসাবে শুক্রবার রামপুরহাটের বিষ্ণুপুরের মেলেডাঙ্গা গ্রামে সুমিত সরকারের বাড়ি গিয়েছিলেন শতাব্দী রায়।‌ সেখানে তাঁর মধ্যাহ্ন ভোজের ব্যবস্থা করেছিলেন সুমিত বাবু। সেখানকারই একটা ছবি দিনভর ভাইরাল হয় সোশ্যাল মিডিয়া সহ বিভিন্ন মাধ্যমে। দেখা যায় পাত পেড়ে খেতে বসে ছবি তোলার পর না খেয়েই উঠে পড়েন শতাব্দী। তাই নিয়ে শুরু হয় বিতর্ক।

বিজেপি সহ বিরোধীরা দাবি করতে থাকেন, গ্রামের গরীব মানুষের বাড়ির দাওয়ায় হাঁটু মুড়ে বসে খেতে অস্বস্তি বোধ করেন তৃণমূলের এই সেলিব্রিটি সাংসদ। যদিও গতকাল‌ই ওই বাড়ির মালিক সুমিত সরকার সংবাদ মাধ্যমে দাবি করেছিলেন, দিদি তার বাড়িতে বসে খাওয়া দাওয়া করেছেন। পাত খালি করেই খেয়েছেন। তবে তাতে বিতর্ক থামেনি।

শনিবার যেন কতকটা সেই বিতর্কের জবাব দেওয়ার জন্য‌ই কলকাতার ডেকার্স লেনে তাঁকে দেখা গেল তৃণমূল কংগ্রেসের অন্যতম মুখপাত্র কুনাল ঘোষের সঙ্গে। ঘিঞ্জি ডেকার্স লেনের চিত্ত বাবুর দোকানের ঠিক বাইরের রাস্তায় টুল পেতে বসে বেশ আয়েস করে খেলেন পোলাও ও মাছের পদ। সেখানেই তিনি বলেন, “কাল আমি ওখানেই খেয়েছি। আমার নামে মিথ্যা কথা বলা হচ্ছে। যে ছবির কথা বলা হচ্ছে তার আগেই আমার খাওয়া হয়ে গেছে। আমি ওখানে মাটন, বেগুন ভাজা, ডাল সব খেয়েছি।” তাহলে ওই ছবি আসলো কোথা থেকে ! সে প্রসঙ্গে শতাব্দী রায় বলেন, “আমার খাওয়ার ছবি তোমাদের ওখানকার বন্ধুরা(সংবাদ মাধ্যম কে লক্ষ করে) তুলতে পারেনি।

তাই ওদের অনুরোধে আমাকে আবার বসতে হয়। এরপর সেই ছবি দেখিয়েই বলা হচ্ছে আমি নাকি ওখানে খাই নি। এটা ঠিক নয়। এটা আমাকে ইচ্ছাকৃতভাবে বদনাম করার চেষ্টা।” এই প্রসঙ্গে কুনাল ঘোষ বলেন, “শতাব্দী ওখানকার তিনবারে সাংসদ। সেটা বিরোধীদের মাথায় রাখা উচিত। তা নয়, সস্তা অপপ্রচার করছে। আসলে ওদের (বিরোধীদের) এত লোকবল নেই যে এমন কর্মসূচি করবে। আমরা খুব আনন্দের সঙ্গেই ‘দিদির সুরক্ষা কবচ’ কর্মসূচি করছি।”