Date : 2024-05-06

“বন সহায়ক নিয়োগে রাজ্য যদি নিজের বিজ্ঞপ্তিকে মান্যতা না দেয় সেক্ষেত্রে আদালত চোখ বন্ধ করে থাকতে পারে না।” মন্তব্য বিচারপতি লপিতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের।

ষষ্ঠী চট্টোপাধ্যায়, সাংবাদিক : বনো সহায়ক নিয়োগ নিয়ে রাজ্যের রিপোর্টে খুশী নয় কলকাতা হাইকোর্ট। ফের রিপোর্ট জমা দেওয়ার নির্দেশ বিচারপতি লপিতা বন্দোপাধ্যায়ের।*

বুধবার মামলার শুনানি চলাকালীন রাজ্যের পক্ষ থেকে মেধাতালিকা জমা পড়ে আদালতে। ১৭০ জনের মেধা তালিকা জমা পড়ে।

আবেদনকারী সৈয়দ মোহাম্মদ এর আইনজীবীর সমিক চট্টোপাধ্যায়ের :– রাজ্যের পক্ষ থেকে যে মেধা তালিকা জমা পড়েছে সেটি ৩০০ নম্বরের ভিত্তিতে নয়। ২০০ নম্বরের ভিত্তিতে জমা পড়েছে। পাশাপাশি বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী বয়সের সীমা নিয়োগের ক্ষেত্রে মান্যতা দেওয়া হয়নি। বিজ্ঞপ্তিতে উল্লিখিত বয়স সীমার ওপরে ও নিচে থাকা বহু প্রাথী চাকরি পেয়েছে। কেনো বিজ্ঞপ্তি তে থাকা ৩০০ নম্বরের পরীক্ষা সত্ত্বেও ২০০ নম্বরের পরীক্ষা নেওয়া হল?

সরকারি আইনজীবী পন্টু দেব রায়ের দাবি:– ২০২০ সালে করোনা কালে পশ্চিম বর্ধমান, বীরভূম এবং বাঁকুড়াতে ক্যাজুয়াল বনো সহায়ক নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি জারি হয়। করোনার জন্য তিনজন পরীক্ষককে পাওয়া যায়নি। দুজন পরীক্ষকে দিয়েই ২০০ নম্বরের পরীক্ষা গ্রহণ করা হয়। বিজ্ঞপ্তিতে সেই বিষয়টিও উল্লেখ রয়েছে। তিনটি জেলায় সকল নিয়োগের ক্ষেত্রেই ২০০ নম্বরের পরীক্ষা গ্রহণ করা হয়েছে। বিজ্ঞপ্তি মেনে ই নিয়োগ প্রক্রিয়া হয়েছে।

২১ ফেব্রুয়ারি ফের রাজ্যকে রিপোর্ট জমা করতে হবে। ওই হলফনামায় উল্লেখ থাকতে হবে কেন বিজ্ঞপ্তিতে থাকা ৩০০ নম্বরের পরিবর্তে ২০০ নম্বরের পরীক্ষা গ্রহণ করা হয়েছে। মামলার পরবর্তী শুনানি ২১ ফেব্রুয়ারি।