শাহিনা ইয়াসমিন, সাংবাদিক:-কেন্দ্রে মোদি – বিজেপি সরকারের জনবিরোধী ও জাতীয় স্বার্থবিরোধী নীতির বিরুদ্ধে আগামী ২৬ থেকে ২৮ নভেম্বর রাজভবন অভিযানের ডাক দিয়েছে সংযুক্ত কিষান মোর্চা ও কেন্দ্রীয় শ্রমিক সংগঠনগুলি।
২৬ ও ২৭ নভেম্বর রানি রাসমণি এভিনিউতে অবস্থান এবং ২৮ নভেম্বর রাজভবন অভিযান কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হবে। শ্রমিক ভবনে সাংবাদিক সম্মেলন করে জানান সংযুক্ত কিষান মোর্চা ও কেন্দ্রীয় শ্রমিক সংগঠন। সংযুক্ত কিষাণ মোর্চা ও কেন্দ্রীয় ট্রেড ইউনিয়নগুলির পক্ষ থেকে অমল হালদার,কার্তিক পাল,অনাদি শাহ, বিপ্লব মজুমদার,গোপাল বিশ্বাস উপস্থিত ছিলেন।
এই কর্মসূচীর মূলত দাবিগুলি হলো-ফসলের ন্যূনতম সহায়ক মূল্য গ্যারান্টি আইন প্রণয়ন, রেগায় ১০০ দিনের কাজের বকেয়া মজুরী পরিশোধ এবং বছরে ২০০ দিনের কাজ ও ৬০০ টাকা দৈনিক ন্যূনতম মজুরী, মূল্যবৃদ্ধি রোধ এবং বেকারদের কর্মসংস্থান নিশ্চিত করা, বিদ্যুৎ সংশোধনী বিল ও স্মার্ট মিটার বাতিল করা।
সিটুর রাজ্য সম্পাদক অনাদি শাহ জানান, রাজ্য পুলিশ অনুমতি দিচ্ছে না। কিন্তু তারা পিছু হটবেন না। ওইদিন কৃষক, শ্রমিক, জনগন, সবার স্বার্থে রাস্তায় নামছেন। বাধা দিলে লড়ে বুঝে নেবেন। পাশাপাশি জানান, তারা রাজ্যপালের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রীর কাছে স্মারকলিপি পাঠাবেন।
২৮ নভেম্বর শিয়ালদহ ও হাওড়া স্টেশন থেকে দুটি বিশাল বর্ণাঢ্য মিছিলের মাধ্যমে হাজার হাজার কৃষক, শ্রমিক ও সাধারন মানুষ রাজভবন অভিযানে সামিল হবেন।
মোদি-বিজেপি সরকার দেশের শ্রমিক, কৃষক ও সাধারন মানুষের জীবন বিপর্যস্ত করে তুলেছে। সরকার দেশের খাদ্য নিরাপত্তা বিপন্ন করে কৃষকদের দারিদ্রে নিক্ষেপ করে কর্পোরেটদের হাতে দেশের কৃষি ও খাদ্য প্রক্রিয়াকরণ তুলে দিতে চেয়েছিল। ঐতিহাসিক কৃষক আন্দোলন মোদি সরকারের এই অন্তর্ঘাতকে উন্মোচিত করে দেয়। প্রতিহিংসা চরিত্রার্থ করতে মোদি সরকার কৃষক আন্দোলনকে বিদেশী সন্ত্রাসবাদী সংগঠনের অর্থপুষ্ট, দেশদ্রোহী আন্দোলন বলে কালিমালিপ্ত করতে চায়। এর সাথে সাথে মোদি সরকার শ্রমিক-কর্মচারীর শ্রম আইনের অধিকার কেড়ে নিয়ে শ্রমিক-কর্মচারীর স্বার্থবিরোধী কোড চাপিয়ে দেওয়ার উদ্যোগ নিয়েছে। তাই মোদি সরকারের স্বরূপ উন্মোচিত করতে রাস্তায় নামছে শ্রমিক সংগঠনগুলি। মাসজুড়ে ব্যাপক প্রচার অভিযান চালানো হয়েছে। ২৮ নভেম্বর রাজভবন অভিযান সংগঠিত হচ্ছে।