সঞ্জনা লাহিড়ী, সাংবাদিক- ছুটির সকালে বাইপাসের ধারে আনন্দপুরের বস্তিতে আগুন। লেলিহান আগুনে পুড়ে ছাই বস্তির প্রায় ৪০ টি ঝুপড়ি বাড়ি। সর্বশেষ দমকলের ১১ টি ইঞ্জিনের চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে। সিলিন্ডার ফেটে বিস্ফোরণ বলে প্রাথমিকভাবে মনে করা হচ্ছে। যদিও আগুন লাগার সঠিক কারণ এখনও স্পষ্ট নয়। ঘটনায় হতাহতের খবর নেই। যদিও ঘর ছাড়া বহু মানুষ। তাঁদের অন্যত্র নিরাপদ এলাকায় সরিয়ে নিয়ে যাওয়া সম্ভব হলেও, পুড়ে গেছে বস্তির সব কিছুই। এদিন সকাল থেকে হাওয়ার বেগ বেশি থাকায় আগুন সহজেই ছড়িয়ে পড়ে। সঞ্জয় রানা নামে বস্তির এক বাসিন্দার বাড়িতে কাঠের আগুনে রান্না হচ্ছিল বলে দাবি স্থানীয়দের।
সেখান থেকেই অগ্নিকান্ডের ঘটনা ঘটে বলে জানা গেছে। আগুনের তীব্রতায় আসেপাশের বাড়িগুলিতেও আগুন লেগে যায়। ৩-৪ টি গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণ হয়। ঝুপড়ি সংলগ্ন একটি বেসরকারি হাসপাতাল ও স্কুল ছিল। যদিও সেগুলি ক্ষতিগ্রস্ত হয়নি। ঘটনাস্থল পরিদর্শনে যান ইস্ট ডিভিশনের ডেপুটি কমিশনার অরিশ বিলাল। দীর্ঘক্ষণ তিনি ছিলেন ওই এলাকায়। দক্ষিণ কলকাতার সাংসদ মালা রায় ও ১০৮ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর সুশান্ত ঘোষ এলাকায় গিয়ে ক্ষতিগ্রস্তদের সাহায্যের আশ্বাস দিয়েছেন। যাঁদের বাড়ি পুড়েছে তাঁদের প্রয়োজনীয় দৈনন্দিন সরঞ্জাম, জামা-কাপড়, খাবার দেওয়া হবে। যাঁদের দরকারি নথি-পত্র পুড়ে গেছে সেগুলো যতটা সম্ভব নতুন করে দেওয়ার আশ্বাস দেওয়া হয়েছে প্রশাসনের তরফ থেকে।